
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর মোংলা ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাজস্ব আয়ে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে জাহাজ আগমন ও পণ্য খালাস। বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, আধুনিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি এবং ব্যবসায়ীদের জন্য সহজলভ্য পরিবেশ তৈরি করায় এই সাফল্য এসেছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শাহীন রহমান জানান, বন্দর ব্যবস্থাপনার অভিজ্ঞতা, স্টেকহোল্ডারদের সহযোগিতা এবং অভ্যন্তরীণ ব্যবসা উন্নয়ন স্থায়ী কমিটি গঠনের ফলে জাহাজ আগমন বেড়েছে।
তিনি আরও জানান, মোংলা বন্দরে জাহাজজট নেই। কন্টেইনার খালাসের টার্ন এরাউন্ড টাইম ১.৬৬-৪.০ ঘণ্টা এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ৩.৩৭-৭.৭৮ ঘণ্টা। গাড়ি আমদানিকারকদের জন্য বিশেষ সুবিধা রয়েছে। পর্যাপ্ত কন্টেইনার রাখার জন্য সাতটি কন্টেইনার ইয়ার্ড রয়েছে। বন্দরে ৩৮টি সহায়ক জলযান রয়েছে। নিরাপত্তার জন্য আইএসপিএস কোড অনুসরণ করা হয় এবং কোস্ট গার্ডের নিয়মিত টহল বিদ্যমান।
প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. সিদ্দিকুর রহমান জানান, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৮০০টি জাহাজ আগমনের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে বন্দরে এসেছে ৮৩০টি জাহাজ। কার্গো হ্যান্ডলিংয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮৮.৮০ লাখ মেট্রিক টন, যেখানে হ্যান্ডলিং হয়েছে ১০৪.১২ লাখ মেট্রিক টন। কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০ হাজার টিইইউজ, আর অর্জিত হয়েছে ২১ হাজার ৪৫৬ টিইইউজ।
তিনি আরও জানান, রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৩ হাজার ৩৮৭ লাখ টাকা, বিপরীতে আয় হয়েছে ৩৪ হাজার ৩৩৩ লাখ টাকা। নীট মুনাফার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০ কোটি ৪৬ লাখ ২০ হাজার টাকা, যেখানে অর্জিত হয়েছে ৬২ কোটি ১০ লাখ টাকা।
বন্দরের উপ-পরিচালক মো. মাকরুজ্জামান জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সময় বন্দরের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বেড়েছে। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন এবং মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বিভিন্ন সময়ে বন্দর পরিদর্শন করে উন্নয়ন ও কার্যক্রম বৃদ্ধির জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর