
পাবনার চাটমোহর উপজেলায় দাখিল পরীক্ষায় মাদ্রাসাগুলোর ফলাফলে ব্যাপক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। উপজেলাটিতে ৩০টি মাদ্রাসা থেকে ৬৮৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল, যাদের মধ্যে মাত্র ১৭৮ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। বাকি ৫০৭ জন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে।
ফলাফল বিপর্যয়ের কারণে অভিভাবক মহলসহ উপজেলাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। দুটি মাদ্রাসায় কোনো শিক্ষার্থীই পাস করতে পারেনি। অন্যদিকে, ৬টি মাদ্রাসায় মাত্র একজন করে শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। ৩০টি মাদ্রাসার মধ্যে মাত্র একজন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।
শিক্ষকদের নিয়মিত উপস্থিতি না থাকা, মাদ্রাসা কমিটি ও নিয়োগ বাণিজ্য নিয়ে শিক্ষা অফিসে বেশি যাতায়াত, নিয়মিত ক্লাস না নেওয়া এবং প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সঠিক তত্ত্বাবধানের অভাবের কারণে এমন ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।
কুয়াবাসী দাখিল মাদ্রাসার সুপার আব্দুল হাকিম জানান, বিগত ১৫ বছরে যেভাবে দাখিল পরীক্ষা হয়েছে, এ বছর তেমন হয়নি। বোর্ড সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোনো শিক্ষার্থীকে গ্রেস মার্কও দেওয়া হয়নি। এছাড়া, মাদ্রাসা শিক্ষকরা নানা কারণে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন এবং উপজেলা পর্যায়ে তাদের জন্য কোনো প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা নেই। তবে, আগামী বছর থেকে শিক্ষকরা আরও বেশি আন্তরিক হয়ে শিক্ষার মান উন্নয়নে সচেষ্ট হবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
চাটমোহর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ শফিউল ইসলাম জানান, উপজেলায় ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো শিক্ষার্থী পাস করেনি। মাদ্রাসা পর্যায়ের ফলাফল খুবই হতাশাজনক। তিনি বলেন, বিগত সরকারের সময় থেকে শিক্ষার্থীরা পাঠ্যবই বিমুখ হয়ে পড়েছিল, যার কারণে এ বছর পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে। তবে, আগামীতে উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভালো ফলাফল করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর