
উখিয়ায় শাড়ি বদলাতে গিয়ে এক নারী দোকানদার ও তার সহযোগীদের দ্বারা মারধর ও শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী উখিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। তবে মামলা দায়েরের পর স্থানীয় দোকান মালিক সমিতি ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা মামলাটি তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
উখিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল খালেক জানিয়েছেন, ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে মামলাটি গ্রহণ করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, অভিযুক্তরা হলেন হলদিয়াপালং ইউনিয়নের রুমখাঁ ক্লাসপাড়া এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ হাশেম ওরফে লুলু (৬৩) এবং তার ছেলে আব্দুল হক (৪০)। তারা কোটবাজার স্টেশনের চৌধুরী মার্কেটের ‘জাহানারা বস্ত্র বিতান’-এর মালিক ও কর্মচারী।
ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ করেছেন, গত ৮ জুলাই তিনি ওই দোকান থেকে দুটি শাড়ি কেনেন। পরদিন সন্ধ্যায় একটি শাড়ি অপছন্দ হওয়ায় সেটি পরিবর্তন করতে গেলে দোকানে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে দোকানদার ও তার ছেলে তাকে মারধর শুরু করেন।
ভুক্তভোগীর ভাষ্য অনুযায়ী, শাড়ি বদলাতে চাওয়ায় দোকানদার আব্দুল হক তাকে গালিগালাজ করেন এবং বুকে লাথি মারেন। তিনি মাটিতে পড়ে গেলে হাশেম তার গলা চেপে ধরে হত্যার চেষ্টা করেন। তার মেয়ে ও ছোট জা এগিয়ে এলে তাদেরও গালিগালাজ করা হয়। পরে আব্দুল হক তার চুলের মুঠি ধরে টানাহেঁচড়া করে বিবস্ত্র অবস্থায় দোকান থেকে বের করে দেন।
স্থানীয়দের সহায়তায় স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ, মামলা দায়েরের পর থেকে প্রভাবশালীরা চাপ সৃষ্টি করছেন এবং গণমাধ্যমে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছেন। শনিবার কোটবাজার দোকান মালিক সমিতির ব্যানারে একটি সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হয়েছে বলেও তারা দাবি করেছেন।
তদন্ত কর্মকর্তা এসআই খালেক জানান, ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। মামলার তদন্ত চলছে এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর