
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ডাবল মার্ডার মামলার অন্যতম আসামি বাবলুর রহমান ওরফে ঘ্যানা (৪৫) কে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার রাত আটটার দিকে সেনাবাহিনী, র্যাব ও কালীগঞ্জ থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে দুধরাজপুর গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাকসুদুল আলম। বাবলুর রহমান কালীগঞ্জ উপজেলার জামাল ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের মৃত মসলেম মোল্লার ছেলে।
চলতি বছরের ১ জুন কালীগঞ্জের তালিয়ান শ্মশানঘাটের পাশে আমিনুর রহমান মহব্বত আলী বিশ্বাস ও ইউনুস আলী বিশ্বাস নামের দুই সহোদর বিএনপি নেতাকে হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার এজাহারভুক্ত ২৪ নম্বর আসামি ঘ্যানা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শতাধিক সন্ত্রাসী নিয়ে ঘ্যানার নেতৃত্বে আমিনুরের ওপর হামলা চালানো হয় এবং তাকে কুপিয়ে হত্যার পর তার ভাই ইউনুসকেও কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। তিন দিন পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইউনুস মারা যান। হামলার পর ঘ্যানা ও তার সহযোগীরা নিহতদের বাড়িতে হাতবোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে লুটপাট ও ভাঙচুর চালায়।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, যৌথ বাহিনীর অভিযানে ঘ্যানাকে আটক করে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও হত্যা মামলায় রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানানো হয়েছে, “১১ জুলাই রাত আনুমানিক আটটার দিকে সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থানাধীন এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে মো. বাবলুর রহমান ওরফে ঘ্যানাকে একটি বিদেশি ৯ মি.মি. পিস্তল ও একটি ম্যাগাজিনসহ গ্রেপ্তার করা হয়।”
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি হত্যা, চাঁদাবাজি, জমি দখলসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত এবং তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। ঘ্যানার গ্রেপ্তারের পর এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর