
যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের অভিযোগ এনে পাবনার চাটমোহরের হিমায়ারা খাতুন নামের এক নারী তার প্রবাসী স্বামী আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন। জব্বার সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার পাঁচদিঘল গ্রামের বাসিন্দা এবং পেশায় একজন সৌদি আরব প্রবাসী।
জব্বারের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের মে মাসে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর জব্বার কাজের জন্য সৌদি আরবে ফিরে যান এবং সেখানে থেকে স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে প্রায় সাড়ে আট লাখ টাকা পাঠান। এছাড়াও, স্ত্রীর ভাইয়ের সুন্নতের অনুষ্ঠান এবং জমি কেনার জন্য শ্বশুর হেলালুর রহমান ও চাচা শ্বশুর বেলালকে আরও সাড়ে চার লাখ টাকা দেন। সব মিলিয়ে তিনি প্রায় ১৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা দিয়েছিলেন।
জব্বারের অভিযোগ, দেশে ফিরে তিনি স্ত্রীর মোবাইল ফোনে পরকীয়া সম্পর্ক বিষয়ক কিছু বার্তা দেখতে পান। এই বিষয়ে তিনি তার শাশুড়িকে জানালে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। পরে, এক ব্যক্তি নিজেকে হিমায়ারার প্রেমিক দাবি করে জব্বারকে হুমকি দেন এবং স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করতে নিষেধ করেন।
পরিস্থিতি খারাপের দিকে গেলে জব্বার ও তার পরিবার বিবাহবিচ্ছেদ এবং পাঠানো টাকার হিসাব চান। এরপরই হিমায়ারা খাতুন বাদী হয়ে পাবনার আদালতে জব্বার ও তার পরিবারের চার সদস্যের বিরুদ্ধে যৌতুক মামলা করেন।
অন্যদিকে, জব্বারের মা বাদী হয়ে হিমায়ারা, তার বাবা ও চাচার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেছেন। তিনি জানান, বিয়ের পর থেকে হিমায়ারা তাদের বাড়িতে থাকতেন না এবং তার ছেলে বিদেশ থেকে যে টাকা পাঠাতো, তা হিমায়ারা ও তার মায়ের কাছে যেত।
এ বিষয়ে হিমায়ারা খাতুন বলেন, জব্বার তার দায়িত্ব পালন করেন না এবং হঠাৎ করে ১২ লাখ টাকা দেওয়ার দাবি করছেন। তিনি আরও বলেন, একজন বিবাহিত নারীর বন্ধু থাকা স্বাভাবিক এবং বন্ধুদের সাথে কথা বলা মানেই খারাপ সম্পর্ক নয়।
হিমায়ারার বাবা হেলালুর রহমান জানান, জব্বার পূর্বে বিবাহিত এবং সেই সংসারে তার একটি মেয়ে আছে, যা তারা গোপন করেছিলেন। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে কয়েকবার সালিশ হলেও কোনো সমাধান হয়নি।
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলম জানান, এ বিষয়ে তাদের কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। যেহেতু আদালতে মামলা হয়েছে, তাই সেখানেই এর ফয়সালা হবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর