
ময়মনসিংহের ভালুকায় কৃষকদল নেতার বাড়ি থেকে গুলি ও পিস্তল উদ্ধারের ঘটনায় আটক হাফিজ উদ্দিন সরকারকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। হাফিজ উদ্দিন সরকার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের কৃষকদলের সহ-সভাপতি ও জীবতলা গ্রামের মৃত নুরু মুন্সির ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (১২ জুলাই) রাতে উপজেলার জীবনতলা গ্রামে হাফিজ উদ্দিনের বাড়িতে যৌথবাহিনী অভিযান চালায়। অভিযানে হাফিজ উদ্দিনের ঘরের পিছন থেকে ৫ রাউন্ড গুলি ও একটি বিদেশি পিস্তল জব্দ করা হয়। এ সময় কৃষকদল নেতা হাফিজ উদ্দিন সরকারকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে সেনাবাহিনী। পরে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, আটকের পর টেবিলে পিস্তল ও গুলিসহ হাফিজ উদ্দিনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। এখন তাকে বাসায় দেখে অনেকেই বিস্মিত। তারা প্রশ্ন তোলেন, হাফিজ উদ্দিন নির্দোষ হলে কেন তাকে আটক করা হয়েছিল, আর দোষী হলে কেন ছেড়ে দেওয়া হলো। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের খতিয়ে দেখা দরকার।
ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবীর জানান, সেনাবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে। হাফিজ উদ্দিনের বাড়ি থেকে প্রায় ৪০ ফুট দূরে পলিথিনে মোড়ানো জংধরা একটি পিস্তল ও ৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর হাফিজ উদ্দিনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।
সর্বশেষ খবর