
পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে হারের পর ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ভারত। কিন্তু সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারেনি ম্যান ইন ব্লুরা। বিপরীতে লর্ডসে নাটকীয় জয়ে ২-১ ব্যবধানে আবারও সিরিজে লিড নিয়ে ইংল্যান্ড।
লর্ডসে আগে ব্যাট করতে নেমে ৩৮৭ রান করেছিল ইংল্যান্ড। এরপর প্রথম ইনিংসে ভারতও ৩৮৭ রান তুলতে পেরেছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে স্বাগতিকরা ১৯২ রানে অলআউট হলে অনেকেই ভেবেছিল সহজেই ম্যাচটা জিতে যাবে ভারত। কিন্তু বোলিং দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখিয়ে ১৭০ রানেই ভারতকে অল-আউট করেছে ইংলিশরা। এতে ২২ রানের জয় পায় তারা।
সোমবার (১৪ জুলাই) পঞ্চম ও শেষ দিনে জয়ের জন্য ভারতের দরকার ছিল ১৩৪ রান, অন্যদিকে ইংলিশদের দরকার ছিল ৬ উইকেট। টপ-অর্ডারের ৪ ব্যাটারকে হারিয়েছিল আগের দিনই, পন্তকে নিয়ে পঞ্চম দিনের ব্যাটিং শুরু করেন কেএল রাহুল।
তবে এ দিন খুব বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি রিশভ পন্ত। ১২ বলে ৯ রান করা বাঁহাতি এই ব্যাটারের স্টাম্প উড়িয়ে দেন জফরা আর্চার।
এক প্রান্ত আগলে রেখ ভারতকে জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন কে এল রাহুল। তবে এ দিন খুব বেশিক্ষণ তিনিও টিকতে পারলেন না। বেন স্টোকসের লেংথের বল ব্যাটে লাগাতে পারেননি রাহুল। তার প্যাডে লাগলে জোরাল আবেদন করলেও আম্পায়ার তাতে সাড়া দিলেন না। পরে রিভিউ নিয়ে সফল হয় ইংল্যান্ড।
এরপর দলের হাল ধরেন অভিজ্ঞ ব্যাটার রবীন্দ্র জাদেজা। তবে তাকে ঠিকঠাক সঙ্গ দিতে পারেননি ওয়াশিংটন সুন্দর। তিনি টিকতে পেরেছিলেন মাত্র ৪ বল। আর্চারের বলে তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন কোনো রান না করেই।
এরপর নিতীশ কুমার রেড্ডিকে নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ খেলেছেন জাদেজা। ১৩ রান করা নিতীশকে ফেরান ক্রিস ওকস। উইকেটের পেছনে জেমি স্মিথের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটার।
জসপ্রীত বুমরাহও ৫ রান করে স্টোকসের বলে বদলি ফিল্ডার কুকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাজঘরে। ১৪৭ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে তখন হারের দ্বারপ্রান্তে ভারত। মোহাম্মদ সিরাজকে নিয়ে শেষ উইকেট জুটিতে তখন ধীরে ধীরে এগোতে থাকেন জাদেজা।
তবে বশিরের বলে বোল্ড আউট হয়ে ফেরেন সিরাজ। আর তাতেই ১৭০ রানে অলআউট হয় ভারত। জাদেজা অপরাজিত থাকেন ৬১ রানে।
আগামী ২৩ জুলাই ম্যানচেস্টারে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে মুখোমুখি দুই দল। আর শেষ ও পঞ্চম ম্যাচে তারা খেলবে লন্ডনে, ম্যাচ শুরু হবে আগামী ৩১ জুলাই।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর