
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায় ঝরনা বেগম (৪৮) নামের এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে দেবিদ্বার পৌর এলাকার সাইলচর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ঝরনা বেগম সাইলচর গ্রামের ইলেকট্রিক মেকানিক আব্দুল করিমের স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঝরনা বেগমের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। ঘটনার পর থেকে তার বড় ছেলে সবুজ নিখোঁজ রয়েছেন।
নিহতের পরিবার জানায়, ঝরনা বেগমের তিন ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। দুই ছেলে শরিফ ও আরিফ সৌদি প্রবাসী এবং ছোট ছেলে সবুজ ট্রাক্টর চালক। দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ঝরনা বেগমের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী বড়আলমপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে দেলোয়ার হোসেনের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। এছাড়াও, দেবর-ভাসুরদের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল।
নিহতের স্বামী আব্দুল করিম জানান, পারিবারিক নানা বিষয়ে তাদের মধ্যে দূরত্ব ছিল। তিনি আরও জানান, তার স্ত্রী প্রায়ই তাকে ঘুমের ওষুধ দিতেন। ঘটনার রাতেও তিনি ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন এবং সকালে স্ত্রীকে মৃত অবস্থায় পান।
দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামসুদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। দেবিদ্বার-ব্রাহ্মনপাড়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. শাহীন জানান, হত্যাকাণ্ডের কারণ উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় তিনটি আঘাত করা হয়েছে।
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর