- ঢাকা
- ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫
- শেষ আপডেট ২ মিনিট পূর্বে
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলায় সৈয়দ আলী (৩০) নামের এক ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় একই পরিবারের নয়জনসহ ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ নূরুল আমিন বিপ্লব জনাকীর্ণ আদালতে এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন: আব্দুল করিমের পাঁচ ছেলে আব্দুর রউফ ওরফে আলফাতুন (৬৯), আজিজুল হক এলাম (৫৪), মো. আলাউদ্দিন ওরফে আলাম মেম্বার (৫৯), কালাম মুন্সি (৬৪), আয়তুল হক মালাম (৫২)। আব্দুর রউফ ওরফে আলফাতুনের দুই ছেলে আঙ্গুর মিয়া ওরফে আনোয়ার হোসেন (৪৫) ও হায়দার আলী (৩৭)। মো. আলাউদ্দিন ওরফে আলাম মেম্বারের দুই ছেলে রোয়েল (৩৯), রাসেল ওরফে ছোটন (৩৬) ও তার ভাই সোহেল (৪১)। আজিজুল হকের ছেলে রেজা মিয়া ওরফে আশিক আহম্মেদ হৃদয় (৩৪), তার ভাই রিয়াদ (৩২) ও কাইয়ূমের ছেলে জহিরুল ইসলাম কালা (৪৪)।
রায় ঘোষণার সময় আলফাতুল, আজিলুল হক বালা, রিয়াদ, আয়াতুল হক কামাল, জহিরুল ইসলাম, কামাল ও আশিক আহমেদ হৃদয় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অন্য ছয়জন পলাতক রয়েছেন।
নিহত ও দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের সবার বাড়ি জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার দেওপুর (কজলাহাটি) গ্রামে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, আসামিদের সঙ্গে নিহত মুদি দোকানের ব্যবসায়ী সৈয়দ আলীর জায়গা নিয়ে পূর্ব বিরোধ ছিল। ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ সৈয়দ আলী নিয়ামতপুর বাসস্ট্যান্ড বাজারে গেলে আসামিরা কিরিচ, ছুরা, লাঠিসোঁটা ও রড দিয়ে হামলা করে গুরুতর আহত করে। প্রথমে তাকে করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়, যেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৯ মার্চ তিনি মারা যান।
আহত অবস্থায় সৈয়দ আলীর বড় বোন পারভীন সুলতানা বাদী হয়ে করিমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা করেন। পরে সৈয়দ আলী মারা গেলে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।
তদন্ত শেষে একই বছরের ২১ সেপ্টেম্বর করিমগঞ্জ থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক শহর আলী ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
দীর্ঘ শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।
আসামি পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট অশোক সরকার।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
