
গাজীপুরে অটোরিকশা চালকদের কাছ থেকে চাঁদা উঠানোর প্রতিবাদ করায় অটোরিকশা চালক ও শ্রমিকদের ওপর হামলার ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবীতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে অটোরিকশা চালক, শ্রমিক এবং এলাকাবাসী।
বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২ টায় গাজীপুর সদর উপজেলার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বাঘের বাজারে বিক্ষোভ শেষে মানববন্ধনে তারা এ দাবী জানান।
এর আগে ২০ জুলাই (রবিবার) বিকেলে গাজীপুর সদর উপজেলার বানিয়ারচালা গ্রামের বাসিন্দা জোসনা বেগম (৪৭) বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় বানিয়ারচালা গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে ও গাজীপুর সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ইউনুছ আলী নছ মিয়া (৪০), তাইজ উদ্দিনের ছেলে যুগ্ম আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন জসিম তাজ (৩৫), তাদের সহযোগী রাকিব সরকার (২৩), দেলোয়ার হোসেন (৪২) এবং তরিকুল ইসলাম হৃদয়ের (১৯) নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মানববন্ধনে মামালার বাদী জোসনা বেগম বলেন, আমার স্বামী শাহজাহান আলী এবং প্রতিবেশী মিয়ার উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে বাঘের বাজার-সাফারি পার্ক সড়কে অটোরিকশা চালিয়ে আসছে। সম্প্রতি আসামীরা অব্যাহতভাবে অটোরিকশা চালক চাঁদা তুলে আসছে। চালকদের কাছ থেকে উঠানোর প্রতিবাদ করেন চালক শাহজাহান আলী ও মিয়ার উদ্দিন।
এর জেরে গত ১১ জুলাই দুপুরে আসামীরা বাঘের বাজার অটোরিকশা স্ট্যান্ডে তাদের বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এদিন বিকেল ৪টার দিকে বানিয়ারচালা এলাকার নূর উদ্দিন মাস্টারের বাড়ির সামনে আসামীরা শাহজাহান আলী ও মিয়ার উদ্দিনকে মারধর করে। এসময় মিয়ার উদ্দিনের ছেলে সুমন মিয়াও আহত হয়।
স্থানীয়দের সহযোগীতায় তাদেরকে ফার্মেসীতে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গুরুতর আহত সুমন মিয়াকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।
অভিযুক্ত ইউনুছ আলী নছ মিয়া বলেন, অটোরিকশা স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজির ঘটনায় সম্প্রতি একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলায় জোসনা বেগমের স্বামীও আসামী। প্রতিহিংসা করে স্থানীয় চাঁদাবাজদের সহযোগীরা ওই নারীকে দিয়ে আমাকে মামলায় আসামী করে। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা, বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন।
গাজীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক হাসিবুর রহমান খান মুন্না বলেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের কোন ইউনিটের নেতাকার্মীরা কোনো ধরেনের চাঁদাবাজির সাথে জড়িত না। বাঘের বাজার যে ঘটনাটা ঘটেছে সেটা একবারেই প্রতিহিংসা করে করা হয়েছে। তারপরও ঘটনাটি আমরা তদন্ত করব। দোষী প্রমাণীত হলে ওই নেতা বা কর্মীর বিরুদ্ধে গঠণতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর