রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩ জনে। দুর্ঘটনায় দগ্ধ হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৫০ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১৫ জন, ঢাকা সিএমএইচে ১৫ জন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন, লুবানা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টারে একজন এবং ইউনাইটেড হাসপাতাল লিমিটেডে একজন মারা গেছেন। কেউ কেউ হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান, আবার কেউ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

সর্বশেষ শুক্রবার (২৫ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় মাকিন নামে এক শিক্ষার্থী। তার বাড়ি গাজীপুর সদর উপজেলার কোনাপাড়া এলাকায়। তিনি মোহাম্মদ হোসাইনের ছেলে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের বরাতে জানা গেছে, দুর্ঘটনায় দেড় শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। এর মধ্যে অনেকে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছেন। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৫০ জন, যাদের মধ্যে ৪০ জনই রয়েছেন জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে। বাকি আটজন সিএমএইচে এবং একজন করে শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।

উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই সকালে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনের ওপর বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনার সময় ক্লাস চলছিল এবং শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় সারাদেশে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।