
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র খাদিজা আক্তার কেয়া পদত্যাগ করেছেন। শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেলে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ ঘোষণা দেন।
ফেসবুক পোস্টে কেয়া লেখেন, “আমরা গণঅভ্যুত্থানের পর মুরাদনগর থেকে একটি প্ল্যাটফর্মে এসেছিলাম। সেই অভ্যুত্থানে আমাদের হাজারো ভাই-বোন শহীদ হয়েছেন। আমি তাদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করতে পারি না। তাই আমি নিজেই এসব কিছু থেকে সরে দাঁড়ালাম। আজ থেকে এ প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা থাকবে না।”
পোস্টে আরও উল্লেখ করেন, “যার জন্য করলাম চুরি, সেই বলে চোর! এটা আমার ক্ষেত্রেও যে প্রযোজ্য হবে না, কে বলল? আপনারা সবাই জানেন, আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন দায়িত্বশীল কর্মী ছিলাম। কিন্তু আজকের পর থেকে এই আন্দোলনের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।”
তিনি লেখেন, “দেশের স্বার্থে আমি সবসময় লড়াই করে যাব। আমাকে সবসময় দেশের পক্ষে পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ।”
নিজের পদত্যাগের কারণ হিসেবে কেয়া বলেন, “সম্প্রতি কুমিল্লা টাউনহল মাঠে এনসিপির পদযাত্রায় পতিত আওয়ামী লীগের লোকজন সামনের সারিতে ছিল—যারা আমাদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বাধা দিয়েছিল। এসব দেখে মনে হয়েছে, শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা হচ্ছে। তাই আমি এই প্ল্যাটফর্মে থাকতে চাই না।”
তিনি আরও জানান, ফেসবুকে পদত্যাগের ঘোষণা দিলেও রোববার লিখিতভাবে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন।
পোস্টের শেষাংশে খাদিজা আক্তার কেয়া বলেন, “আমি কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তিকেন্দ্রিক রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম না এবং ভবিষ্যতেও থাকব না। তবে দেশের স্বার্থে ও সংস্কারের পক্ষে সবসময় সংগ্রামে থাকব।”
তবে কেয়া’র এ পদত্যাগ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
সর্বশেষ খবর