
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ছাত্রজনতা ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করেছে। ছাত্রজনতা যে আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে স্বৈরাচারকে হটিয়েছিল, তা আজও বাস্তবায়িত হয়নি।
অভ্যুত্থানের পরেও বাংলাদেশকে পুরোনো পদ্ধতিতে চালানোর চেষ্টা অব্যাহত আছে। এটা এ দেশের ছাত্রজনতা মেনে নেবে না। তিনি বলেন, অবিলম্বে সংস্কার, গণহত্যার বিচার ও নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে। জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র গড়ে তুলতে হবে। নতুন সংবিধানে মানুষের সকল অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। ফ্যাসিবাদী সরকারের গণহত্যা ও সকল অপকর্মের বিচার করতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদকে উৎখাত করেছি। এখন গণতান্ত্রিকভাবে, নিয়মতান্ত্রিকভাবে সংস্কারের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে চাই। এজন্য আমরা মানুষের কাছে যাচ্ছি, তাদের কথা শুনছি। সভায় তিনি বিচার, সংস্কার ও নতুন বাংলাদেশ গঠনে জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র নিশ্চিতে আগামী ৩ আগস্ট ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সবাইকে সমবেত হওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি আজ রবিবার দুপুরে নেত্রকোনার স্থানীয় পুরাতন কালেক্টরেট ভবনের উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে দেশ গড়ার পদযাত্রার অংশ হিসেবে নেত্রকোনা জেলা এনসিপি কর্তৃক আয়োজিত পথসভা সমাবেশে এসব কথা বলেন।
সভায় এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে। আমাদের শরীরে একবিন্দু রক্ত থাকতে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র সহ্য করব না। তিনি অবিলম্বে সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবি জানান। পদযাত্রা সভায় বক্তব্য রাখেন উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, কেন্দ্রীয় সংগঠক প্রীতম সোহাগ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফাহিম রহমান খান পাঠান ও রুহুল আমিন আইনী, প্রকৌশলী শেখ জামাল।
এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব, এহতেসামুল হক, মনিরা শারমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক অর্পিতা শ্যামা দেব, জাতীয় যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব ডা. জাহেদুল ইসলাম, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার, যুবশক্তির যুগ্ম আহ্বায়ক মারুফ আল হামিদ, কেন্দ্রীয় সংগঠক জাকারিয়া ইমন প্রমুখ।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর