
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফাজ্জামান বাবরের কারণে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
রবিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে এনসিপির “দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা” কর্মসূচির অংশ হিসেবে নেত্রকোনা শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় পুরাতন কালেক্টরেট মাঠে আয়োজিত পথসভায় নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এসব কথা বলেন।
লুৎফাজ্জামান বাবর নেত্রোকোনা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।
পথসভায় বাবরের প্রতি প্রশ্ন রেখে নাসীরুদ্দীন বলেন, “বাংলাদেশে অসংখ্য হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, অসংখ্য ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে বড় একটি ঘটনা হলো ১০ ট্রাক অস্ত্রের চালান। যদি অস্ত্র হ্যান্ডলই করতে না পারেন, তবে নিয়ে আসছিলেন কেন আপনি? আমাদের দক্ষিণ এশিয়ায় এই অস্ত্রকাহিনির কারণে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের হুমকির মধ্যে পড়েছে। অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন হয়েছে।”
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, “আমি বাবর ভাইকে সম্মান করি, তিনি কারা নির্যাতিত নেতা। কিন্তু আপনার ওই কাজ আমি সমর্থন করি না। আপনার এই কাজের কারণে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে পারেনি। হাসিনার মতো একজন খুনি-ফ্যাসিস্ট ক্ষমতায় এসেছিলেন। গত ১৫ বছর বিএনপির নেতা-কর্মীরা নির্যাতিত হয়েছেন, আমার ভাইদের ওপর হত্যা করা হয়েছিল, গুলি চালানো হয়েছিল, এই জন্য আপনিও ইতিহাসের কাঠগড়ায় আপনিও দায়ী থাকবেন। আমরা শান্তি চাই। আমরা অশান্তি চাই না বাংলাদেশে। আমরা মানুষের অধিকার চাই। মানবিক মর্যাদা চাই।”
এনসিপির এই নেতা আরও বলেন, “যার হাতে বিচারালয়ের ক্ষমতা, যার হাতে সংসদীয় ক্ষমতা, যার হাতে নির্বাহী ক্ষমতা—এ জন্য আমরা পাওয়ার ব্যালান্স চেক করার জন্য পিআর পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষে নির্বাচন চেয়েছি। কিন্তু যারা ফ্যাসিস্ট ক্ষমতার কাঠামোতে থাকতে চায়, তারা এ বিষয়ে জনগণকে ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা করছে। রাজপথে ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। বাংলাদেশের মানুষ নতুন সংবিধান, সংস্কার এবং শেখ হাসিনার বিচারের টিকিট নিয়েই ঘরে ফিরবেন ইনশাআল্লাহ।”
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, “আমরা বিডিআর হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড, বিএনপি-জামায়াতের অসংখ্য নেতা-কর্মীর গুম-খুনের বিচার চাইছি। যারা ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়নে মুসলমানদের ওপর নিপীড়ন করেছে, আলেমদের জঙ্গি হিসেবে তকমা দিয়েছে, পাহাড়িদের অত্যাচার করেছে, তাদের বিচার করতেই হবে।”
পথসভায় এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) প্রীতম সোহাগ, কেন্দ্রীয় সদস্য ফাহিম খান পাঠান প্রমুখ বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম উপস্থিত থাকলেও তারা বক্তব্য দেননি।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর
রাজনীতি এর সর্বশেষ খবর