
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা কম্বাইন্ড ডিগ্রির (ভেট সাইন্স অ্যান্ড এএইচ) দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। সোমবার (২৮ জুলাই) সকাল থেকে পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা সকল প্রকার ক্লাস বর্জন করে এই কর্মসূচি শুরু করে।
দুপুরে পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষদের সামনে থেকে শুরু হয়ে উপাচার্যের বাসভবন এবং প্রশাসনিক ভবন প্রদক্ষিণ করে পুনরায় পশুপালন অনুষদে এসে শেষ হয়।
বিক্ষোভকালে শিক্ষার্থীরা "জ্বালো জ্বালো, আগুন জ্বালো / আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই / এক দফা এক দাবি, কম্বাইন্ড কম্বাইন্ড" ইত্যাদি স্লোগান দেয়।
পশুপালন অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাফি আবদুল্লাহ বলেন, "আমাদের চাকরির পরিসর দিন দিন সংকীর্ণ হয়ে যাচ্ছে। দেশের অনেক বেসরকারি চাকরিতে মূলত ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থীরা অথবা কম্বাইন্ড ডিগ্রিধারীরা আবেদন করতে পারছেন। এর ফলে পশুপালন অনুষদ থেকে প্রাপ্ত ডিগ্রির মূল্য ক্রমেই কমছে। দেশের অনেক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালু হওয়ায় এই বৈষম্য আরও বাড়ছে।"
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৃতীয় বর্ষের এক নারী শিক্ষার্থী জানান, "বিসিএস পরীক্ষাতেও আমরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। কম্বাইন্ড ডিগ্রিধারীরা আমাদের তুলনায় অনেক বেশি পদের জন্য আবেদন করতে পারছেন। এমনকি অনেক পরীক্ষার ভাইভা বোর্ডে আমাদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা হয়। শুধু তাই নয়, চাকরিতে প্রবেশের পরেও হাতুড়ে ডাক্তারদের কারণে আমাদের পেশাগত মূল্যায়ন কমছে।"
শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, তাদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে এবং ভবিষ্যতে আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে পশুপালন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন জানান, "পশুপালন ডিগ্রিটা যেহেতু ৬৫ বছর হয়ে গেছে, এই ৬৫ বছরের একটি অনুষদ কম্বাইন্ড হয়ে যাবে এটা আমরা শিক্ষকরা মনে করি না যে খুব যৌক্তিক কোনো আন্দোলন। সে বিষয়টি নিয়ে আমরা সকালে বসেছিলাম মিটিংয়ে। মিটিংয়ে কম্বাইন্ডের ব্যাপারে শিক্ষকরা কোনো ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছেন না।"
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর