
গাজীপুরের কালীগঞ্জে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের আওতাধীন পরিবেশগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ 'বিশেষ জীববৈচিত্র্য এলাকা' থেকে ১৫৫টি অবৈধ ঘরবাড়ি উচ্ছেদ করেছে যৌথ বাহিনী।
সোমবার এই উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তনিমা আফ্রাদ।
ইউএনও তনিমা আফ্রাদ জানান, উচ্ছেদ অভিযানে সার্বিকভাবে সহায়তা করেছে ঢাকা বন বিভাগ, পুলিশ ও র্যাবের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল। পূর্বাচলের ২৪ ও ২৫ নম্বর সেক্টরের প্রায় ১৪৪ একর এলাকা শালকপিচসহ নানা প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণীর বিচরণের কারণে এটিকে 'বিশেষ জীববৈচিত্র্য এলাকা' হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
২০১২ সালের বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের আওতায় সরকার এই এলাকায় সংরক্ষণের গেজেটও জারি করে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ৪৪ জন অবৈধ দখলদার সেখানে ১৫৫টি অবৈধ ঘরবাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছিলেন।
এই অবৈধ দখলকে জীববৈচিত্র্যের জন্য বড় হুমকি উল্লেখ করে তিনি আরও জানান, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সংরক্ষিত বনভূমি রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। জাতীয় সম্পদ রক্ষায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সরকারের জলবায়ু অভিযোজন ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) পূরণে দেশের বনভূমির পরিমাণ বাড়ানো গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে দেশের বৃক্ষাচ্ছাদন ২২.৩ শতাংশ, যা এসডিজির ২৫ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম। এই ঘাটতি পূরণে সংরক্ষিত বন ও সামাজিক বনায়নে জোর দিয়েছে সরকার।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর