
নাটোরের বড়াইগ্রামে জমির মালিকানা দ্বন্দ্বে দশটি দোকানে তালা দেওয়ার ঘটনায় আটক জামায়াত-বিএনপির চার নেতাকর্মীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে তাঁদের বড়াইগ্রাম আমলী আদালতে তোলা হয়। পরে আদালতের বিচারক তৌহিদুর রহমান সুমন তাঁদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার আহমেদপুর বাজার থেকে তাঁদের আটক করে যৌথবাহিনী।
আটককৃতরা হলেন একই এলাকার মুজিবুর রহমান ও তাঁর তিন ছেলে—জোয়াড়ী ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি রুহুল আমিন, জামায়াত কর্মী আজিমউদ্দিন, বিএনপির কর্মী হায়দার আলী।
স্থানীয়রা জানান, আহমেদপুর গ্রামের মুজিবুর রহমানের সঙ্গে প্রতিপক্ষ নওপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম, কোরবান আলী, শাহ আলম ও মোতালেব হোসেনের ছয় শতাংশ জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এ ঘটনায় আদালতে মামলাও চলমান রয়েছে। সোমবার এ বিষয়ে সালিশ বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তা বন্ধ হয়ে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মুজিবুর রহমানের ছেলেরা বিবাদমান জমিতে থাকা দশটি দোকানে তালা মেরে দেন। পরে খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মুজিবুর রহমান ও তাঁর তিন ছেলেকে আটক করেন এবং দোকানের তালা খুলে দেন।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি গোলাম সারওয়ার হোসেন জানান, দোকানে তালা দেওয়ার ঘটনায় ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
এদিকে, মঙ্গলবার বিকেলে নাটোরের একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জেলা জামায়াতের আমির ড. মীর নুরুল ইসলাম বলেছেন, মূলত জমি নিয়ে দ্বন্দ্বে দোকানপাটে তালা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সেখানে চাঁদা দাবির মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবুও অভ্যন্তরীণভাবে তাঁরা একটি কমিটি করেছেন। সেই কমিটি তদন্ত করে দেখবে। যদি চাঁদাদাবির মতো কোনো ঘটনার সঙ্গে জামায়াত কর্মীরা জড়িত থাকে, তাঁদের অবশ্যই দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। সে ব্যাপারে দলের কেন্দ্রীয় আমির ও সংগঠনের সরাসরি নির্দেশনা রয়েছে।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর