
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ঐতিহাসিক ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে এক বাণীতে বলেছেন, বৈষম্যমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা ও ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার সম্মিলিত প্রতিরোধের মধ্য দিয়ে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দেশে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়েছিল। দিবসটির প্রথম বর্ষপূর্তিতে তিনি দেশের মুক্তিকামী ছাত্র-জনতাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, “আমি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সব শহিদকে, যারা স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাদের আত্মত্যাগ জাতির ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমি তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি এবং আহত, পঙ্গু ও দৃষ্টিশক্তি হারানো সব বীর জুলাই যোদ্ধার প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা।”
তিনি বলেন, “জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহিদ ও আহতদের পরিবার যেন ন্যায়বিচার পান, তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের পবিত্র দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্র অঙ্গীকারবদ্ধ।”
রাষ্ট্রপতির ভাষায়, “জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ছিল দীর্ঘদিনের দুঃশাসন, লুটপাট, গুম, খুন, ভোটাধিকার হরণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে তরুণ প্রজন্মের ক্ষোভের বিস্ফোরণ। এই গণ-অভ্যুত্থানের লক্ষ্য ছিল ফ্যাসিবাদ উৎখাত করে জনগণের ক্ষমতায়ন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা। একটি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে ‘জুলাই চেতনা’র বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি।”
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, “জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর রাষ্ট্র ব্যাপক সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। এই সংস্কার গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে সুগম করবে এবং গড়ে তুলবে ন্যায় ও সাম্যভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ।”
তিনি ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।
সর্বশেষ খবর