
নরসিংদীর পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের দক্ষিণ দেওড়া পূর্বপাড়া গ্রামের দুই পা পঙ্গু আসাবুদ্দীনের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে উপজেলা প্রশাসন। রবিবার (১০ আগস্ট) বিকেলে আসাবুদ্দীনের বাড়িতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন ব্যাগ চাল ও নগদ আর্থিক সহায়তা তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আবুবক্কর সিদ্দিকী।
এর আগে, "দুই পা পঙ্গু আসাবুদ্দীন স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চায়, আসাবুদ্দীনকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন" শিরোনামে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে খবরটি নজরে আসে পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার। এরপরই তিনি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন এবং আসাবুদ্দীনের বাড়িতে ছুটে যান। তাৎক্ষণিক আসাবুদ্দীনের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা করেন। এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আসাবুদ্দীন ও তার পরিবারকে সবরকম সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি। এ সময় ইউএনওর সঙ্গে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কাউসার আলম সরকার উপস্থিত ছিলেন।
পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আবুবক্কর সিদ্দিকী বলেন, "সংবাদমাধ্যমে দুই পা পঙ্গু আসাবুদ্দীনের পরিবারের অসহায়ত্বের খবর দেখে খুব খারাপ লেগেছে। যে বয়সে তার পরিবারের হাল ধরার কথা, সেই বয়সে কোমড়ের মেরুদণ্ডের হাড়সহ দুইটি পা পঙ্গু হয়ে গেছে। অসহায় পরিবারটি ঠিকমতো চিকিৎসা করাতে পারছে না। এটা আসলে মেনে নেওয়া যায় না। তাই আমরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই পরিবারটির পাশে দাঁড়িয়েছি। আসাবুদ্দীনকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থায়ীভাবে কিছু করে দেওয়ার চেষ্টা করছি। তাকে ও তার পরিবারকে সবরকমের সহযোগিতা করা হবে।"
উল্লেখ্য যে, ৩০ বছর বয়সী টগবগে যুবক আসাবুদ্দীন সুস্থ থাকাকালীন গিরিল মিস্ত্রীর কাজ করতেন। তার উপার্জনের টাকায় চলতো পুরো পরিবার। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে সুস্থ স্বাভাবিক আসাবুদ্দিনের আজ কোমরের মেরুদণ্ডের হাড়সহ দুইটি পা পঙ্গু হয়ে গেছে। গত সাত বছর ধরে তিনি বিছানায় শয্যাশায়ী। প্রতিনিয়তই মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। সামান্য ভিটেমাটি ছাড়া যেটুকু জমি ছিল, সব কিছু বিক্রি করে এতদিন চিকিৎসার খরচ চালিয়েছে পরিবারটি। বর্তমানে টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছে না। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী আসাবুদ্দিনের জীবনে এমন দুর্ঘটনা নেমে আসায় চোখে মুখে অন্ধকার দেখছে পরিবারটি।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর