
পঞ্চগড়ের মকবুলার রহমান ডায়াবেটিক সমিতিতে নিয়োগপত্র ছাড়াই ৪৮ জন কর্মচারী বছরের পর বছর বিভিন্ন পদে চাকরি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদের চাকরির ব্যক্তিগত ফাইলও সমিতিতে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ২০১৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত নিরীক্ষাকালের অডিটে এই তথ্য উঠে এলেও কর্মচারীরা নির্বিঘ্নে চাকরি করে আসছেন। প্রতিষ্ঠানটির নিয়োগ বিধিমালা না থাকায় বিষয়টি বরাবরই ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কর্মচারীরা কে কোন পদে কত সালে নিয়োগ হয়েছেন, তার কোনো সঠিক তথ্যও প্রতিষ্ঠানটির নেই বলে অডিট প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
অডিট প্রতিবেদনের ৬ নম্বর পর্যবেক্ষণে ‘নিয়োগ বিধি’ অংশে দেখা যায়, সমিতিতে কর্মচারী নিয়োগের কোনো নিয়োগ বিধিমালা নেই। নিয়োগ বিধিমালা না থাকায় কে উচ্চপদস্থ, কে নিম্নপদস্থ, কার অধীনে কে আছেন, এরূপ কোনো শৃঙ্খলা নেই। এছাড়া কোনো পদের জন্য কতজন কর্মচারী নিয়োগ পাবে, কীভাবে পাবে, এমন কোনো পদ্ধতিও নেই। ফলে এখানে একটি শৃঙ্খলাবিহীন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বিরাজ করছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
মকবুলার রহমান ডায়াবেটিক সমিতিতে এমন অবস্থা চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে সমিতির ‘চেইন অব কমান্ড’ ভেঙে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অডিট সুপারিশে হাসপাতালে কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়নসহ গ্রেডভিত্তিক শ্রেণিবিন্যাস করার পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।
এ বিষয়ে পঞ্চগড় ডায়াবেটিক সমিতির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও নিরীক্ষা কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট এ কে এম আনোয়ারুল ইসলাম খায়ের জানান, নিরীক্ষা কমিটি যাচাই-বাছাই করে প্রতিষ্ঠানটির ২০১৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের সেবা কার্যক্রম নিরীক্ষা করে ত্রুটি, বিচ্যুতি, অনিয়ম, সীমাবদ্ধতা উল্লেখ করে প্রতিবেদন আকারে পরিচালনা কমিটি বরাবর পেশ করেছে। পরিচালনা কমিটির কয়েকবার মিটিং হলেও এখন পর্যন্ত অনিয়মের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
নিরীক্ষা প্রতিবেদন প্রকাশের পরও কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, এমন প্রশ্নের জবাবে পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক অনিরুদ্ধ কুমার রায় জানান, নিরীক্ষা রিপোর্ট পেয়েছি। ডায়াবেটিক সমিতি প্রতিষ্ঠানটিকে শৃঙ্খলিত অবস্থায় আনতে পরিচালনা কমিটি কাজ করছে। অতি দ্রুত আমরা নিরীক্ষা প্রতিবেদনের আলোকে পদক্ষেপ নেব।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর