
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “স্বৈরাচার পতনের পর হয়তো অনেকে ভেবেছিলেন প্রতিপক্ষ নেই, নির্বাচন আর কঠিন হবে না। কিন্তু আমি তখনই বলেছিলাম—বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কঠিন নির্বাচন হবে আগামী নির্বাচন। এক বছর আগে বলেছিলাম, অদৃশ্য শক্তি বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করছে। আজ তা আপনারা বুঝতে পারছেন। তবে যতই ষড়যন্ত্র হোক, বিএনপির পরিবার ঐক্যবদ্ধ থাকলে আমরা সফল হবো ইনশাআল্লাহ।”
সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টায় নওগাঁ কনভেনশন সেন্টারে জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, “আজ অনেকেই সংস্কারের কথা বলছেন। কিন্তু স্বৈরাচার মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিলে, সম্পদ লুট করে পাচার করলে আড়াই বছর আগে বিএনপি জনগণের সামনে রাষ্ট্র মেরামতের জন্য ৩১ দফা ঘোষণা করেছিল। এই ৩১ দফায় রাষ্ট্রকে জনগণের রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে যা প্রয়োজন সবই রয়েছে। আজ যারা সংস্কারের কথা বলছেন, আমাদের প্রস্তাবের সঙ্গে তাদের প্রস্তাবের মিল খুঁজে পাবেন।”
তিনি আরও বলেন, “বিএনপির অভিজ্ঞতা রয়েছে খাদ্য উৎপাদন দ্বিগুণ করা, নারী শিক্ষার প্রসার, কোটি শ্রমিকের বিদেশে কর্মসংস্থান, অভ্যন্তরীণ কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং রাষ্ট্র পুনর্গঠন করার। বাংলাদেশ যদি ঠিক না থাকে, ১৮ কোটি মানুষের আর কোনো আশ্রয় থাকবে না।”
তারেক রহমান নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “রাজনৈতিক দলের পুঁজি জনগণ। জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করাই লক্ষ্য। সবাই শহীদ জিয়ার সৈনিক হিসেবে সতর্ক থাকবেন—কেউ যেন এমন কিছু না করেন যাতে জনগণের আস্থা নষ্ট হয়। সহকর্মীর কাজের কারণে দল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কিনা নজর রাখবেন।”
সম্মেলনে জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক এস এম রেজাউল ইসলাম রেজুর সভাপতিত্বে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকতসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেন।
সর্বশেষ খবর
রাজনীতি এর সর্বশেষ খবর