
মাত্র একদিনের ব্যবধানে নাটোরের বাগাতিপাড়ায় চারটি চুরির ঘটনা ঘটেছে। দুটি ইউনিয়নে সংঘটিত এসব ঘটনায় নগদ অর্থ, স্বর্ণ ও রূপার গহনা এবং অন্যান্য মালামাল মিলে প্রায় পাঁচ লাখ ৪০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। পরপর চুরির ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলার তমালতলা বাজারে 'ভাই-ভাই স্টোর' নামের একটি দোকানে চুরি হয়। দোকান মালিক বাদশা আলী বলেন, "প্রতিদিনের মতো দোকান বন্ধ করে রাত সাড়ে দশটার দিকে বাসায় ফিরি। বুধবার সকালে এসে দেখি, দোকানের পেছনের দেওয়ালের কয়েকটি ইট খোলা, টিনের নিচ দিয়ে ঢুকে চোরেরা প্রায় এক লাখ টাকা ও কিছু মালামাল নিয়ে গেছে।" বাজার কমিটির সভাপতি ইনতাজ আলী বলেন, "নৈশপ্রহরী থাকা সত্ত্বেও বাজারে চুরি হওয়া উদ্বেগজনক। এর পেছনে কারা জড়িত, খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।"
একই রাতে জামনগর মন্ডলপাড়ার আশিক আলীর বাড়িতে চোর ঢুকে একটি স্মার্টফোন, নুপুর ও নগদ আট হাজার টাকা নিয়ে যায়। ওই রাতেই উপজেলার কৈপুকুরিয়া গ্রামের মৃত রহিমুদ্দীনের ছেলে আরমানের বাড়ির ড্রয়ার ভেঙে সোনার ও রূপার গহনা চুরি হয়। আরমানের দাবি, এতে প্রায় ৬০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে বুধবার দুপুরে একই ইউনিয়নের কৈপুকুরিয়া এলাকায় শহিদুলের বাড়ি থেকে বাক্স ভেঙে জমি রেজিস্ট্রির জন্য রাখা তিন লাখ ছত্রিশ হাজার টাকা চুরি হয়।
বাগাতিপাড়া মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নাজনীন আকতারী বলেন, "এখনো কোনো ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
চুরির ঘটনাগুলোতে ভুক্তভোগীরা শুধু আর্থিক ক্ষতির শিকারই নন, মানসিকভাবে বিপর্যস্তও হয়েছেন। অনেকেই রাতে ঘরে ঘুমাতে ভয় পাচ্ছেন। তাদের দাবি, দ্রুত চোরদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হোক এবং বাজার, গ্রামসহ সকল স্থানে নিরাপত্তা জোরদার করা হোক।
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর