
গাজীপুরের শ্রীপুরে পারিবারিক কলহের জেরে দুই সন্তানের জননী আরিফা ইয়াসমিনকে (২৪) বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী আব্দুর রশিদের (৩৭) বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে স্বামী পলাতক রয়েছেন। বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া (দক্ষিণ পাড়া) চেয়ারম্যান বাড়ির মোড় সংলগ্ন আবু আলীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আরিফা ইয়াসমিন নেত্রকোনা সদর উপজেলার পাঁচ কাহনিয়া গ্রামের মৃত সবুজ মিয়ার মেয়ে। তাঁর স্বামী আব্দুর রশিদ শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বড়নল গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে। আরিফা ইয়াসমিন তাঁর তৃতীয় স্ত্রী। তাঁকে ছাড়াও আব্দুর রশিদের আরও তিন স্ত্রী রয়েছে। তাঁরা কেওয়া (দক্ষিণ পাড়া) চেয়ারম্যান বাড়ির মোড় সংলগ্ন আবু আলীর বাড়িতে গত আট মাস ধরে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
নিহতের ছোট বোন শিফা আক্তার জানান, প্রায়ই তাঁর বোনের সাথে তাঁর স্বামীর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া লেগেই থাকত। এর জেরে তাঁর স্বামী তাঁকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে গেছেন।
বাড়ির মালিক আবু আলী বলেন, প্রায় আট মাস আগে আরিফা ইয়াসমিন তাঁর দুই সন্তানসহ বাসা ভাড়া নেন। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাতে তাঁর স্বামী আব্দুর রশিদ তাঁর অন্য এক স্ত্রীকে নিয়ে ওই বাড়িতে আসেন এবং রাতযাপন করেন। সকালে ঘরে আরিফা ইয়াসমিনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহাম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, নিহত গৃহবধূর স্বামী আব্দুর রশিদ চারটি বিয়ে করেছেন এবং বর্তমানে চতুর্থ স্ত্রীকে নিয়ে অন্যত্র বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। ঘটনার দিন আব্দুর রশিদ তাঁর তৃতীয় স্ত্রী আরিফা ইয়াসমিনের সঙ্গে খাবার খাওয়ার পর রাত্রিযাপন করেন। প্রাথমিক ধারণা, সে তাঁর স্ত্রী আরিফা ইয়াসমিনকে শ্বাসরোধে হত্যার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন। পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর