
লুট হওয়া প্রায় ৩৫ হাজার ঘনফুট পাথর ফিরেছে সিলেটের ভোলাগঞ্জ পর্যটন কেন্দ্রে। ধলাই নদীর পর্যটন কেন্দ্র অংশের স্বাভাবিক সৌন্দর্য ফেরাতে এসব পাথর সেখানে প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে। এর আগে গত বুধবার রাতে সিলেট নগরীর প্রবেশমুখে দুই শতাধিক ট্রাকে তল্লাশি চালায় যৌথ বাহিনী। এর মধ্যে ৭০টি পাথরভর্তি ট্রাক বড়শালা বাইপাস মোড় থেকে ফিরিয়ে ভোলাগঞ্জে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, লুট হওয়া সব পাথর আগের জায়গায় ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত অভিযান চলবে। এরই মধ্যে পাথর লুটের ঘটনায় এক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে গ্রেপ্তারের পরই অনেক লুটপাটকারী গা-ঢাকা দিয়েছেন।
এদিকে ভোলাগঞ্জ থেকে লুট হওয়া সাদাপাথর স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় উদ্ধার করে সাত দিনের মধ্যে আগের জায়গায় প্রতিস্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের তালিকা প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে।
গত বুধবার রাতে সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. শের মাহবুব মুরাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে লুট ঠেকানো ও পাথর প্রতিস্থাপনে পাঁচটি সিদ্ধান্ত হয়। এসব সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে– জাফলং ইসিএ এবং ভোলাগঞ্জ পর্যটন এলাকায় ২৪ ঘণ্টা যৌথ বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে; গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জে পুলিশের চেকপোস্ট যৌথ বাহিনী সার্বক্ষণিক থাকবে; ক্রাশিং মেশিনের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নসহ পাথর ভাঙার কার্যক্রম বন্ধে অভিযান চলবে; পাথর লুটের সঙ্গে জড়িত সবাইকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা এবং লুটের পাথর উদ্ধার করে আগের অবস্থানে ফিরিয়ে নেওয়া।
প্রশাসনের ওই বৈঠকের পরই রাত থেকে ভোলাগঞ্জ ও জাফলংয়ে অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী। গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দুই শতাধিক ট্রাকে তল্লাশি করা হয়। এর মধ্যে ৭০টি ট্রাকে থাকা প্রায় ৩৫ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করে ধলাই নদীতে ফেরত পাঠানো হয়।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর