
বরগুনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের লাইব্রেরি থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনীসহ আওয়ামী লীগের চার শতাধিক বই বের করে আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১৮ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে দলীয় প্রভাবমুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরপর দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে স্বৈরাচার সরকারের সব চিহ্ন মুছে ফেলা হলেও বরগুনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের লাইব্রেরিতে ছিল শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের অসংখ্য বই। কলেজের শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে লাইব্রেরিতে খুঁজে প্রায় চার শতাধিক বই বের করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেন।
কম্পিউটার বিভাগের শিক্ষার্থী ও পলিটেকনিক কলেজ ছাত্রশিবিরের সভাপতি বলেন, ‘লাইব্রেরিতে শেখ মুজিবেরর কিছু বই ছিল। ৫ আগস্টের পর বইগুলো থাকার কথা না। স্যারদের সঙ্গেও শিক্ষার্থীরা জানতে চেয়েছেন বইগুলো আছে কি-না। তখন তারা বলেছিলেন, বইগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে। পরে লাইব্রেরিতে খুঁজে বইগুলো পাওয়া গেলে কলেজের সামনে নিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়।’
কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শিহাব হোসাইন বলেন, ‘কলেজের চারতলার একটি লাইব্রেরি রুম থেকে শেখ মুজিবের বিভিন্ন গল্পের বইসহ চার শতাধিক বই বের করা হয়েছে। ছাত্রদলের কলেজ শাখার সদস্যরাসহ, ছাত্রশিবির, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে বইগুলো খুঁজে বের করেন। পরে বইগুলো আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।’
এ বিষয়ে বরগুনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অনিল চন্দ্র কার্তুনিয়া বলেন, ‘দেড় মাসের মতো সময় হয়েছে আমি কলেজে যোগদান করেছি। এর আগে যিনি দায়িত্বে ছিলেন তিনি আমাকে বলেছিলেন, গত সরকারের ওই বইগুলো গুছিয়ে ফেলা হয়েছে। সম্মুখে কোনো বই রাখা নেই। তবে কলেজে পরীক্ষা চলায় এবং এ অল্প সময়ের মধ্যে কোথায় কোন বই রাখা হয়েছে তা সম্পূর্ণভাবে খোঁজ নিতে পারিনি। জেনেছি গত সরকারের ওই বইগুলো একত্র করে লাইব্রেরিতে আড়াল করে রাখা ছিল। শিক্ষার্থীরা আজ লাইব্রেরিতে গিয়ে সেগুলো বের করে পুড়িয়ে ফেলেছে।’
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর