
নরসিংদী পলাশে দুই পা পঙ্গু আসাবুদ্দীনকে এবার ঘরের চালের জন্য তিন বান ঢেউ টিন দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে উপজেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বিকালে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের অর্থায়নে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন বান ঢেউ টিন তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আবুবক্কর সিদ্দিকী। এ সময় ইউএনওর সঙ্গে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কাউসার আলম সরকার উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে দুই পা পঙ্গু আসাবুদ্দীন স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চায়, প্রয়োজন আর্থিক সহায়তা, আসাবুদ্দীনকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন, শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করলে খবরটি নজরে আসে পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার । এরপর গত (১০ আগস্ট) বিকালে আসাবুদ্দীনের বাড়িতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চাল ও নগদ আর্থিক সহায়তা তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আবুবক্কর সিদ্দিকী।
তিনি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। ছুটে যান আসাবুদ্দীনের বাড়িতে। তাৎক্ষণিক আসাবুদ্দীনের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা করেন। এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আসাবুউদ্দীন ও তার পরিবারকে সবরকম সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি। এ সময় ইউএনওর সঙ্গে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কাউসার আলম সরকার উপস্থিত ছিলেন।
পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আবুবক্কর সিদ্দিকী বলেন, সংবাদমাধ্যমে দুই পা পঙ্গু আসাবুদ্দীনের পরিবারের অসহায়ত্বের খবর দেখে খুব খারাপ লেগেছে। যে বয়সে তার পরিবারের হাল ধরার কথা। সেই বয়সে কোমরের মেরুদণ্ডের হাড়সহ দুইটি পা পঙ্গু হয়ে গেছে। অসহায় পরিবারটি ঠিক মতো চিকিৎসা করাতে পারছেন পরিবারটি। এটা আসলে মেনে নেয়া যায় না। তাই আমরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই পরিবারটির পাশে দাঁড়িয়েছি। আশাবুদ্দীনকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থায়ীভাবে কিছু করে দেওয়ার চেষ্টা করতেছি। তাকে ও তার পরিবারকে সবরকমের সহযোগিতা করা হবে।
উল্লেখ, ৩০ বছর বয়সী টকবকে যুবক আসাবুদ্দীন সুস্থ থাকাকালীন করতেন গিরিল মিস্ত্রীর কাজ। তার উপার্জনের টাকায় চলতো পুরো পরিবার। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে সুস্থ স্বাভাবিক আসাবুদ্দিনের আজ কোমরের মেরুদণ্ডের হাড়সহ দুইটি পা পঙ্গু হয়ে গেছে। গত সাত বছর ধরে বিছানায় শয্যাশায়ী। প্রতিদিনই মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি। সামান্য ভিটেমাটি ছাড়া যেটুকু জমি ছিলো সব কিছু বিক্রি করে এতোদিন চিকিৎসার খরচ চালিয়েছে পরিবারটি।
বর্তমানে টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছে না। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী আসাবুদ্দিনের জীবনে এমন দুর্ঘটনা নেমে আসায় চোখে মুখে অন্ধকার দেখছে পরিবারটি।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর