খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার মেরুং পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই নিরস্ত্র) নাজমুল হাসানের বিরুদ্ধে ফ্রি ওয়াইফাই সংযোগ না দেওয়ায় এক ব্যবসায়ীকে ফাঁড়িতে ডেকে নিয়ে মারধরের অভিযোগে তাকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। বুধবার (২০ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেন খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে মেরুং ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেরুং বাজার থেকে কেবল অপারেটর ও ওয়াইফাই ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেনকে (২৭) ফাঁড়িতে ডেকে নিয়ে বেদম মারধর করেন এসআই নাজমুল। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আহত ইসমাইল হোসেন উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের সওদাগরপাড়ার বাসিন্দা কাজী আব্দুল হাইয়ের ছেলে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, “ফ্রি ওয়াইফাই সংযোগ দিতে অস্বীকার করায় ফাঁড়ি ইনচার্জ নাজমুল হাসান আমাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। এতে আমার শরীরের বিভিন্ন অংশে এবং ডান হাত মারাত্মক জখম হয়েছে।
ঘটনার খবর পেয়ে দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকারিয়া দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় তিনি ভুক্তভোগীর চিকিৎসা খরচ বহনের আশ্বাস দেন।
এ বিষয়ে প্রথমে এসআই নাজমুল অভিযোগ অস্বীকার করলেও এলাকাবাসীর ক্ষোভের মুখে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। পরে দীঘিনালা থানার ওসি মো. জাকারিয়া দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, 'এ ধরনের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। ইতোমধ্যে বিষয়টি পুলিশ সুপারের কাছে প্রতিবেদন আকারে পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং তাকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হবে। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।'
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল বলেন, 'ফ্রিতে ইন্টারনেট সংযোগ না দেওয়ায় দীঘিনালার স্থানীয় ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন (২৭) যুবককে পিটিয়ে জখম করার ঘটনায় উক্ত এসআই(নি:) নাজমুল হাসানকে খাগড়াছড়ি পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। সে সাথে দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জকে একদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে। প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।'
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর