
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি সিএনজি গ্যাস স্টেশনে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় এক ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা, একটি বাসসহ পুরো পাম্প পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ ঘটনায় ৬ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ২০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
জানা যায়, সকাল ৬টায় একটি বাসে গ্যাস দেওয়ার সময় এই বিস্ফোরণ ঘটে। পাম্পের কর্মী রাসেল বাসটিতে গ্যাস দিচ্ছিলেন এবং পাশেই ছিলেন ম্যানেজার জয়নাল মিয়া। ৩৭ পয়েন্ট গ্যাস দেওয়ার পর গ্যাসের পাইপ ছিঁড়ে যায় এবং সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় পাম্পে গ্যাস নিতে আসা ১০টি সিএনজি ও বাসটি সম্পূর্ণরূপে ভস্মীভূত হয়ে যায়।
অগ্নিকাণ্ডের সময় সিএনজি পাম্পের তৃতীয় তলায় থাকা কয়েকজন কর্মী প্রাণ বাঁচাতে লাফ দিয়ে নিচে পড়েন এবং গুরুতর আহত হন। এ সময় গ্যাস পাম্প ও এর আশপাশের এলাকা থেকে গ্যাস নিতে আসা শত শত ছোট-বড় গাড়ি ও বিভিন্ন পেশার লোকজন আতঙ্কিত হয়ে ছোটাছুটি শুরু করেন। বাসের চালকরা দৌড়ে রক্ষা পেলেও পাম্পের কর্মী রাসেল (২৫) ও ম্যানেজার জয়নাল আবেদিন (৪০) গুরুতর আহত হন। এছাড়া, চারজন সিএনজি চালকও আহত হয়েছেন, তবে প্রাথমিকভাবে তাঁদের নাম জানা যায়নি।
গ্যাস পাম্পের সহকারী ম্যানেজার শোয়েব আহমদ জানান, তাঁরা তিন তলায় ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ আগুন, আগুন শব্দ শুনে উঠে দেখেন চারিদিকে আগুন। তাঁরা তিনজন প্রাণ বাঁচাতে পিছনের তিন তলা থেকে ধানক্ষেতের কাদায় লাফ দিয়ে পড়েন এবং প্রাণে রক্ষা পান। তাঁর ধারণা, বাসে গ্যাস দিতে গিয়েই বিস্ফোরণ হয়েছে। তাঁদের মোট ৬ জন আহত হয়েছেন এবং প্রাথমিকভাবে প্রায় ২০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। হবিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ হাবিবুর রহমান জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুনে ১০টি সিএনজি, একটি বাসসহ পুরো পাম্প পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আহত ৪ জনকে তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করে সিলেটে পাঠানো হয়েছে।
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর