
প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে নড়াইল জেলার নবগঙ্গা, মধুমতী ও চিত্রা নদীর দুই পাড়ের বেশ কিছু এলাকা নদীভাঙনের কবলে পড়ে। এর ফলে বসতভিটা, ফসলি জমি, পাকা রাস্তা ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বিলীন হয়ে যায়। এ বছরও কালিয়া উপজেলার উথালী, চরমধুপুর এবং লোহাগড়া উপজেলার ইতনা, শালনগর, কোটাখোল, জয়পুর, মৌলভীধানাইড়, শিয়েরবর, রামকান্তপুরসহ সদর উপজেলার রতডাঙ্গার মতো অনেক এলাকায় নদীভাঙন দেখা দিয়েছে।
যদিও পানি উন্নয়ন বোর্ড তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে কিছু এলাকায় বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধ করতে সক্ষম হয়েছে, পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকায় অনেক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় এখনো কাজ শুরু হয়নি। উথালী গ্রামের বাসিন্দা পান্নু শেখ ও শিলা বেগম জানান, জরুরি ব্যবস্থায় ভাঙন ঠেকানো সম্ভব হলেও, নবগঙ্গা নদীর প্রবল স্রোতের কারণে সেখানে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জোর দাবি জানান তাঁরা। রতডাঙ্গা গ্রামের সাহাবুদ্দিনও জরুরি কাজের জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন, তবে স্থানীয়দের মধ্যে স্থায়ী সমাধানের আতঙ্ক থেকেই যাচ্ছে।
নড়াইল জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. তারিকুজ্জামান লিটু জানান, বরাদ্দ অপ্রতুল হওয়ায় অনেক সময় নদীভাঙনের খবর পেলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড ব্যবস্থা নিতে পারে না। তিনি জরুরি কাজের বরাদ্দ বৃদ্ধিসহ ভাঙনকবলিত এলাকায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য জরিপ করার দাবি জানান। তিনি আরও উল্লেখ করেন, জেলার অনেক স্থানে এখনো তীব্র ভাঙন চলছে এবং দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।
নড়াইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অভিজিৎ কুমার সাহা বলেন, তাঁরা সীমিত সম্পদ ও বাজেটের মধ্যে দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছেন এবং কাজের মান নিশ্চিত করতে একটি শক্তিশালী দল সর্বদা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে। স্থায়ী কাজের জন্য ভাঙনকবলিত স্থানের নির্দিষ্ট নকশা অনুযায়ী বরাদ্দের চাহিদা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান। নড়াইলের জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান বলেছেন, সরকারের পক্ষ থেকে নদীভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর