
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ইকসু) গঠন ও নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রণয়নের দাবিতে শিক্ষার্থীরা ‘মুভমেন্ট ফর ইকসু’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম গঠন করেছেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্রিয় রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, আদিবাসী ও ভিন্ন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের সংগঠন, সাংবাদিক সংগঠনসহ বিভাগীয় প্রতিনিধি ও সাবেক সমন্বয়করা যুক্ত হয়েছেন। গত শুক্রবার সন্ধ্যা ও শনিবার দুপুরে দু’দফায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভার মাধ্যমে এ প্ল্যাটফর্ম গঠিত হয়। তবে প্ল্যাটফর্মটি কত সদস্যবিশিষ্ট হবে, তা এখনও নির্ধারিত হয়নি। প্ল্যাটফর্মটির সদস্যরা জানিয়েছেন, ইকসু বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত এ প্ল্যাটফর্ম সক্রিয়ভাবে সকল আলাপ-আলোচনা ও আন্দোলন সংগ্রাম কাজ করে যাবে।
জানা গেছে, ইকসু গঠনের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টায় বিভিন্ন বিভাগের আট জন শিক্ষার্থী সংবাদ সম্মেলন করেন। ওই সময়ে বসার জায়গার অব্যবস্থাপনা, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতার উপস্থিতি এবং বিভিন্ন ইস্যু ধামাচাপা দিতে ইকসুর দাবি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। পরে এসব নিয়ে কয়েক দফায় হট্টগোলের সৃষ্টি হলে একপর্যায়ে রাজনৈতিক দলের কিছু নেতাকর্মী সম্মেলনস্থল ত্যাগ করেন।
পরদিন শুক্রবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের নিয়ে ইকসু গঠনের দাবিতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থীরা সেখানে ইকসুতে নিয়মিত ছাত্রদের প্রতিনিধিত্ব, সাজিদ হত্যার বিচারের দাবি, শিক্ষক নিয়োগ, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের বিরোধীদের শাস্তি নিশ্চিতকরণ, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও সংখ্যালঘুদের অংশগ্রহণ নিশ্চিতসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতামত দেন।
পরে শনিবার দুপুরে দ্বিতীয় দফায় আলোচনায় বসে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের নিয়ে ‘মুভমেন্ট ফর ইকসু’ প্ল্যাটফর্ম গঠন করা হয়। প্ল্যাটফর্মটি ইকসু বাস্তবায়ন ও রোডম্যাপ প্রস্তুত না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা এবং আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবির সাবেক সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, “আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অঙ্গনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি। তাদের মতামতের ভিত্তিতে ইকসু বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ছাত্র প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে ইকসু বাস্তবায়নের কাজ করবে। তবে যদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইকসু গঠন নিয়ে কোনো ধরনের টালবাহানা করে, তাহলে শিক্ষার্থীরা কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে ইকসু আদায় করবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বরত উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, ইকসু গঠনের জন্য দল-মত নির্বিশেষে সকলকেই একই প্লাটফর্মে থাকতে হবে। সকল শিক্ষার্থীর একই দাবি থাকলে ইকসু গঠনে কোনো বাঁধা নেই। আমরা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তি হিসেবে ইকসু গঠনের জন্য যা যা করা লাগে সব কাজ করবো।
জিসান নজরুল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মোবাইল: ০১৮১০৩২৪৮৩২ তারিখ: ২৩.০৮.২৫ইং
বাঁধন/সিইচা/সাএ
সর্বশেষ খবর