
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে ভ্যাপসা গরম এবং গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে আবহাওয়ার বৈরি পরিস্থিতিতে প্রতিটি বাড়িতে সর্দি, জ্বর, কাশিসহ মাথা ব্যথার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এর ফলে কমিউনিটি ক্লিনিকসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে ১ থেকে ১০-১২ বছরের শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে এই রোগের প্রভাব বেশি লক্ষ করা যাচ্ছে। চিকিৎসকেরা জ্বর-সর্দি দেখা দিলে অবহেলা না করে সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বেশিরভাগ বাড়িতেই কেউ না কেউ জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত। তাদের অনেকেই বিভিন্ন ফার্মেসি থেকে উপসর্গের কথা বলে ওষুধ কিনে সেবন করছেন এবং কেউ কেউ সুস্থও হচ্ছেন। আবার অনেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে গিয়েও চিকিৎসা নিচ্ছেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, ডাক্তারদের ব্যক্তিগত চেম্বারগুলোতে এ ধরনের রোগীদের উপচে পড়া ভিড় লেগেই থাকছে।
১২ বছর বয়সী মেয়ে আঁখি আক্তারকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে আসা তার মা জাহানারা বেগম জানান, তার মেয়ে দুই দিন ধরে খুবই জ্বর-সর্দি আর কাশিতে ভুগছে। এলাকার ফার্মেসি থেকে ওষুধ খাইয়েও জ্বর না কমায় তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার দেখাতে এসেছেন।
রফিকুল ইসলাম বলেন, তার শরীরে গত তিন দিন ধরে জ্বর, সর্দি, মাথাব্যথা, কাশিসহ সারা শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা। বাড়িতে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ওষুধ খেয়ে তিনি এখন অনেকটা সুস্থ হলেও তার ৮ বছরের ভাতিজী বর্তমানে জ্বর-সর্দির সঙ্গে লড়ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রাণেশ চন্দ্র পন্ডিত বলেন, আবহাওয়া জনিত কারণে হঠাৎ সর্দি-জ্বরের প্রকোপ একটু বেড়েছে। এ নিয়ে আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। এই সর্দি-জ্বরে শুধুমাত্র প্যারাসিটামল জাতীয় ট্যাবলেট খেতে হবে। অযথা দোকান থেকে অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট খাওয়া যাবে না। আর জ্বর হলে অবশ্যই সর্বদা তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে এবং বাসায় বিশ্রাম নিতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে এসে ডাক্তারদের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর