
সুনামগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ তোফায়েল আহমদ খান বলেছেন, এই বাংলাদেশে সবার অধিকার সুরক্ষিত থাকবে, সবাই সমান অধিকার পাবে—এটা শুধু বিশ্বাস করি না, প্রয়োজনে এটার জন্য যুদ্ধ করবো। তিনি রবিবার দুপুরে সুনামগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমিতে সুনামগঞ্জ জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার মানোন্নয়ন শীর্ষক সেমিনারে এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না। প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তি থাকলেও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য তা নেই। এরা কি সৎ মায়ের সন্তান?
অধ্যক্ষ তোফায়েল আহমদ খান আরও বলেন, কারো সাথে যদি সৎ মায়ের সন্তানের মতো আচরণ করা হয়, শুদ্ধ ভাষায় বললে বিমাতা সুলভ আচরণ করা হয়, কঠিন করে বললে সৎ মায়ের মতো আচরণ—মাদ্রাসা শিক্ষায় এমনই আচরণ করা হচ্ছে।
একজন তার সম্পত্তি থেকে বৃত্তির জন্য বললে সরকার কেন পারবে না? মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। আমরা দাবি জানাই, মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নে সরকার বাজেট রাখবে। অব্যবস্থাপনা, বৈষম্য দূর করতে হবে। না হলে আমাদের কোনো উন্নয়ন হবে না।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব বহন করে, বেশি ‘সার্ভ’ করে। যারা মেজরিটি সার্ভ করে তাদের কেন হাস্যকর বানানো হচ্ছে, তাদের চিকিৎসা ও বাসা ভাড়া কম কেন? এই বৈষম্য কেন?
তিনি বলেন, আমরা আমাদের নৈতিকতার জায়গা থেকে, জবাবদিহিতার জায়গা থেকে সৃষ্টিকর্তার কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য। আমরা আমাদের দায়িত্ব থেকে এগিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ। ‘গেইট’ ভেঙে নতুন করে ‘গেইট’ হবে না, ‘বাউন্ডারি’ ভেঙে নতুন করে ‘বাউন্ডারি’ হবে না। তার আগে বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আমাদের একদম নেসেসারি ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচার’ কে কনফার্ম করতে হবে। এর আগে ‘গেইট’, ‘বাউন্ডারির’ প্রজেক্ট দেখতে চাই না।
সুনামগঞ্জ জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার মানোন্নয়ন শীর্ষক সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সুনামগঞ্জ জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সমর কুমার পালের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন। মুখ্য আলোচক ছিলেন সিলেট মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর আলম এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহন লাল দাস।
উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রেজাউল করিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) তাপস শীল, শান্তিগঞ্জ ইউএনও সুকান্ত সাহা সহ নানা শ্রেণি পেশার নেতৃবৃন্দ।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর