সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণের শুনানিতে বিএনপি নেতা রুমিন ফারহানা ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেতাকর্মীদের মধ্যে মারামারির ঘটনাকে দুঃখজনক উল্লেখ করে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন,, এ ঘটনায় পুলিশের কাছে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে এবং তাদের যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

বুধবার (২৭ আগস্ট) নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রথম দিনের শুনানিতে যে মারামারি হয়েছে, অনেকে বতেছেন আগামী নির্বাচনে কী পরিস্থিতি হবে-এমন প্রশ্ন করা হলে ইসি সচিব বলেন, এটা অত্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত। না হওয়াটাই বাঞ্ছনীয় ছিল এবং কাম্য ছিল। এটাও আমাদের জন্য একটা লেসন, যে অনেক কিছুই অনাকাঙ্ক্ষিত জিনিস সামনে এসে পড়ে। জীবনে এটা একটা পার্ট। কিন্তু এটা না হওয়াটাই ভালো ছিল। এবং এটা আমাদের জন্য, সবার জন্য একটা দুঃখজনক ঘটনা।

মারামারির যে ঘটনা, কমিশনের সামনে ঘটেছে, ভোট কেন্দ্রে তাহলে কী হতে পারে? এই ঘটনার পর কারো বিরুদ্ধে আপনাদের ব্যবস্থা দেখলাম না কেন-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, এটা ব্যাপার হচ্ছে যে এটার সাথে সরাসরি নির্বাচন কমিশন সম্পর্কিত না। আপনি যদি এখন আমার সাথে বাইরে ধাক্কাধাক্কি করেন কোনো একটা কারণে, সেখানে তো সংস্থার সাথে দায় বা সংস্থাকে দায়ী করা…।এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে একটা সাধারণ ডায়রি করেছি, যেখানে আমরা পুলিশকে দায়িত্ব দিয়েছি। পুলিশকে বলেছি যে, আপনারা এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

গত ২৪ আগস্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩ আসনের শুনানিতে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেতাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। রুমিন অভিযোগ করেন তাকে ধাক্কা দেওয়া হয়েছে, অপরদিকে এনসিপি নেতা আতাউল্লাহ দাবি করেন তিনি মারধরের শিকার হয়েছেন। পরে তিনি ইসি সচিবের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়ে ঘটনার বিচার দাবি করেন এবং তা না হলে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ দাবি করেন

সালাউদ্দিন/সাএ