
বগুড়ার শেরপুর টাউনক্লাব পাবলিক লাইব্রেরী মহিলা অনার্স কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগ ঘিরে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। নতুন অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে কাগজপত্র জালিয়াতি, সভাপতির স্বাক্ষর নকল, শিক্ষকদের ভুয়া স্বাক্ষর ব্যবহার এবং পূর্বের কর্মস্থল ত্যাগ না করেই যোগদানের অভিযোগ উঠেছে। গভর্নিং বডির সদস্য পিয়ার হোসেন পিয়ার ও জাহিদুর রহমান টুলু প্রায় অর্ধ কোটি টাকার বিনিময়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে তাঁরা ৭ মে জেলা প্রশাসক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা যায়, জাকির হোসেন পূর্বে সিরাজগঞ্জের সায়দাবাদের যমুনা ডিগ্রী কলেজে উপাধ্যক্ষ ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি সেখান থেকে যথাযথ পদত্যাগ না করেই শেরপুর কলেজে যোগদান করেন এবং সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে পদত্যাগপত্র তৈরি করেন। যমুনা ডিগ্রী কলেজের সভাপতি মো. শাহাদৎ হোসেন মুঠোফোনে বলেন, "জাকির সাহেব আমার স্বাক্ষর জাল করেছেন। পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।" এছাড়াও, অভিযোগ রয়েছে যে, নতুন কলেজে নিয়োগের জন্য জমা দেওয়া স্টাফ প্যাটার্নের স্বাক্ষরগুলোও ভুয়া। একই সঙ্গে যমুনা কলেজের গুরুত্বপূর্ণ নথি, চেক বই ও রেজিস্টার বুঝিয়ে না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ করেন বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আব্দুল আওয়াল।
এ বিষয়ে জাকির হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, "আমি যথাযথ নিয়ম মেনেই পদত্যাগ করেছি। একটি মহল আমার সম্মানহানি করার জন্য অপপ্রচার চালাচ্ছে।"
শেরপুর কলেজের সভাপতি কেএম মাহবুবার রহমান হারেজ জানান, "আমরা জমা দেওয়া কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করেই নিয়োগ দিয়েছি। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
বগুড়া জেলা শিক্ষা অফিসার মো. রমজান আলী আকন্দ জানান, "অভিযোগের তদন্ত চলছে।"
অন্যদিকে জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা বলেন, "নিয়োগে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর