
রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের বকবান্ধা জিঞ্জিরাম নদীর ভাঙন রোধ ব্যবস্থাপনায় কমিউনিটির নেতৃত্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে পরিকল্পনা প্রণয়ন বিষয়ক একটি নদী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের বকবান্ধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আরডিআরএস বাংলাদেশ ট্রোসা-২ প্রকল্প কর্তৃক আয়োজিত এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোছা: উম্মে হোসনে আরা। আলোচনায় অংশ নেন রৌমারী সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপিকা আনজুমান আরা, রৌমারী মহিলা কলেজের প্রভাষক আখতারুজ্জামান, রৌমারী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল ইসলাম রিজু, নদী সংগঠক মহীউদ্দিন মহির এবং শিক্ষক আক্কাস আলীসহ আরও অনেকে। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরবেশ আলী, ট্রোসা-২ প্রকল্প কর্মকর্তা খায়রন্নেসা সরকার, ভাঙন ব্যবস্থাপনায় অগ্রণী ভূমিকা রাখা স্থানীয় প্রতিনিধি শাহানবীসহ প্রমুখ।
বৈঠকে কমিউনিটির নারী-পুরুষ প্রতিনিধি সকলে নদীভাঙন মোকাবেলায় তাদের অভিজ্ঞতা ও অর্জিত শিক্ষা তুলে ধরেন। আলোচনার মাধ্যমে আগামী দিনে নিজেদের উদ্যোগে নদী ব্যবস্থাপনায় কাজ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে তারা একটি নদী ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেন।
প্রজেক্ট অফিসার খায়রন্নেসা সরকার বলেন, বিগত সময়ে প্রকল্পের পক্ষ থেকে আমরা বকবান্ধা কমিউনিটিকে নদী বৈঠকের মাধ্যমে একত্রিত হয়ে ভাঙন ব্যবস্থাপনায় পরিকল্পনা গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নে পাশে থেকে সহযোগিতা করেছি। বর্তমান অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আগামীতে নদী কেন্দ্রিক নানা ইস্যুতে কাজ করবে, তার একটি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছেন তারা।
জানা যায়, কমিউনিটির নেতৃত্বে ৬০০ মিটার এলাকায় ২৭টি বাঁশের বান্ডেল দেওয়া হয়েছে। নদী ভাঙন ব্যবস্থাপনায় কমিউনিটি নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা শেয়ারিং ও কার্যক্রম চলমান রাখতে এবং নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও টেকসই সমাধানের পথ খুঁজে বের করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয় বৈঠকে। এর আগে ওই প্রকল্প স্থানীয়, উপজেলা প্রশাসন, ইউনিয়ন পরিষদ ও ট্রোসা-২ প্রকল্পের সহযোগিতায় বাঁশের বান্ডেল জিঞ্জিরাম নদীতে নির্মাণ করা হয়।
সর্বশেষ খবর