
প্রতি বছর সেপ্টেম্বরে নিউ ইয়র্কের জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বসে সাধারণ পরিষদের অধিবেশন। এতে যোগ দেন বিশ্বের সব সদস্য রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধান ও প্রতিনিধিরা। বৈশ্বিক নানা সংকট, রাজনৈতিক অস্থিরতা, যুদ্ধ, জলবায়ু পরিবর্তন, মানবাধিকার, দারিদ্র্য বিমোচন থেকে শুরু করে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDGs) বাস্তবায়ন—সবই স্থান পায় এই আলোচনায়।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ মূলত বিশ্বের সবচেয়ে বড় কূটনৈতিক মঞ্চ, যেখানে প্রত্যেক দেশের সমান ভোটাধিকার রয়েছে। এখানে কোনো স্থায়ী সদস্যের ভেটো নেই। ফলে ক্ষুদ্রতম রাষ্ট্রও নিজের বক্তব্য তুলে ধরতে পারে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অবস্থান জানান দিতে পারে।
বাংলাদেশও শুরু থেকেই এ সাধারণ পরিষদের সক্রিয় অংশীদার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে বাংলায় প্রথম ভাষণ দিয়ে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরেন। এরপর থেকে প্রতিটি অধিবেশনেই বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারপ্রধান যোগ দিয়ে দেশের অবস্থান, সাফল্য ও দাবি-দাওয়ার কথা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সামনে উপস্থাপন করেন।
বিশ্লেষকদের মতে, সাধারণ পরিষদের এই অধিবেশন শুধু কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার সুযোগই নয়, বরং এটি বৈশ্বিক জনমত গঠনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম। এখানেই বিশ্বের নেতারা একসঙ্গে বসে যৌথ সংকল্প গ্রহণ করেন, যা ভবিষ্যতের আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও অর্থনীতিকে প্রভাবিত করে।
সর্বশেষ খবর
সারাবিশ্ব এর সর্বশেষ খবর