
লজ্জা, অস্বস্তি কিংবা সামাজিক ট্যাবু ভেদ করে দেশের নারীদের প্রতিবন্ধকতায় স্বস্তি দিতে এসেছে আকিজ হেলথকেয়ার অ্যান্ড হাইজিন লিমিটেড এর অন্যতম ব্র্যান্ড ‘সখী স্যানিটারি ন্যাপকিন’। গত ২০ ও ২১ আগস্ট ঢাকার অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ দুটি এরিয়া, কড়াইল ও রায়ের বাজারে ‘সখী’ টিম সফলভাবে “সখী হয়ে তোমার পাশে” ক্যাম্পেইনটি সম্পন্ন করে।
বাংলাদেশের লাখ লাখ কর্মজীবী নারীরা সংসার আর জীবিকার তাগিদে নিয়মিত ঘরের বাইরে যায়। ঘর ও বাহিরের সব দায় সামলে প্রতি মাসের কয়েকটা দিন তাদের জন্য হয়ে ওঠে সবচেয়ে কঠিন। কারণ এখনো পিরিয়ড তাদের কাছে লজ্জার ও অস্বস্তির বিষয়।
প্রথম আলো’র এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গার্মেন্টসে কাজ করা অনেক নারী পিরিয়ডের জন্য মাসে ২-৩ দিন কাজে যেতে পারেন না। এর ফলে বছরে প্রায় ২০০ মিলিয়ন কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়। অন্যদিকে ওয়াটারএইড এর এক জরিপে দেখা গেছে সুবিধাবঞ্চিত নারীর ১০ জনের মধ্যে ৯ জন পিরিয়ডের সময় কাপড় ব্যবহার করেন। এ কারণে তারা মূত্রনালীর সংক্রমণ, যৌনাঙ্গের সংক্রমণ, প্রস্রাবের সংক্রমণ ও বন্ধ্যাত্বের মতো জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন।
‘সখী’ এই ভয়াবহ তথ্যকে শুধুই পরিসংখ্যান হিসেবে গণ্য করে না। কারণ পিরিয়ড শুধু নারীকেই শারীরিকভাবে অস্বস্তিতে ফেলে না, এর প্রভাব পড়ে কর্মক্ষমতায়, পরিবারে, এমনকি দেশের সামগ্রিক উৎপাদনশীলতায়।
তাই নারীদের জীবনের সমস্যা মোকাবেলায় ‘সখী’ এমন এক বন্ধু হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে, যার কাছে পাওয়া যায় নিরন্তর আস্থা ও সঠিক পথের নির্দেশনা। অন-গ্রাউন্ড অ্যাক্টিভেশনে নারীদের মাঝে স্যানিটারি ন্যাপকিনের সঠিক ব্যবহার ও বিতরণ, পিরিয়ড নিয়ে তাদের মনোকষ্ট সম্পর্কে জানা ও বিভিন্ন কুসংস্কার দূর করার চেষ্টা করে তাদের সখী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে ‘সখী’ স্যানিটারি ন্যাপকিন।
এই ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণ করার পর অনেকেই এখন প্রথমবারের মতো প্যাড ব্যবহার করছেন, কর্মক্ষেত্রে নিয়মিত হচ্ছেন, এবং প্রতিদিনের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছেন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে।
কড়াইল ও রায়ের বাজারে নারীরা এখন নিজের শরীর, স্বাস্থ্য ও পিরিয়ড নিয়ে সচেতন। তারা জানেন-এই দিনগুলো লজ্জার নয়, বরং যত্নের। তবে ‘সখী’ এখানে থেমে থাকতে চায় না। বরং পিরিয়ড নিয়ে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিতে চায় দেশের প্রতিটি নারীর কাছে, সখী হয়ে তাদের পাশে থেকে।
সর্বশেষ খবর