
হাওর ও নদীতে নিষিদ্ধ জালের ব্যবহার কমলে মাছের বংশবৃদ্ধি বাড়বে। তাই হাওর ও নদীতে যে সকল জেলেরা নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার করছেন, সেটাও বন্ধ করতে হবে। আর টাঙ্গুয়ার হাওরের জীববৈচিত্র্য ও মাছ রক্ষার জন্য সরকার কাজ করবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
শুক্রবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জ জেলার মৎস্য সম্পদ রক্ষায় করণীয় বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, এইসব জাল যেখান থেকে আমদানি-রপ্তানি করা হয় সেখানেও নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করলে একদিকে হাওরে কিংবা নদীতে নিষিদ্ধ জালের ব্যবহার কমলে মাছের বংশবৃদ্ধি বাড়বে। সেই সাথে দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষায় ব্যাপক পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছে।
তিনি জানান, চায়না দুয়ারী জাল নামটা সুন্দর হলেও এটি এত ক্ষতিকর ও ধ্বংসাত্মক যে যারা এটি বন্ধ করছেন না, তারা দেশের ক্ষতি করছেন। যদি এর উৎস বা উৎপাদন হয়, তাহলে ফ্যাক্টরি বা আমদানি বন্ধের ব্যবস্থা করতে হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার।
এসময় তিনি আরও বলেন, কৃষিতে বালাইনাশকের অপরিকল্পিত ও নিয়ন্ত্রণহীন ব্যবহার মৎস্য সম্পদের ক্ষতি করবে, তেমনি মানুষের স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি করবে। তাই এগুলো বন্ধ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, টাঙ্গুয়ার হাওর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হাওর। এই হাওরের জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও মাছ রক্ষার জন্য সরকার কাজ করবে। সেই সাথে টাঙ্গুয়ার হাওরকে পর্যটনের দিক দিয়ে একটি নিয়ন্ত্রিত পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া, পুলিশ সুপার তোফায়েল আহাম্মেদ প্রমুখ।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর