
প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (স:)-এর ১৫০০তম জন্মদিন উপলক্ষে শনিবার ১২ রবিউল আউয়াল সকাল ৯টায় কুমিল্লা জেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের উদ্যোগে বখশিয়া দরবার শরীফের আয়োজনে কুমিল্লায় সময়ের সবচেয়ে বৃহৎ জশনে জুলুস ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন করা হয়েছে। ফজরের নামাজের পর থেকেই কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন অঞ্চল ও দরবার শরীফ থেকে দলে দলে মুসল্লি এবং নবীপ্রেমিকগণ বখশিয়া দরবার শরীফে সমবেত হতে থাকেন। সকাল নয়টায় জুলুস উদযাপনে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক পদক্ষিণ করা হয়।
এ সময় শানে রিসালাত গাইতে গাইতে নগরীর তেলিকোনা থেকে চকবাজার, রাজগঞ্জ, কান্দিরপাড়, সার্কিট হাউজ, মোগলটুলি হয়ে শাহ আব্দুল্লাহ গাজিপুরির দরবার শরীফে গিয়ে জুলুস শেষ হয়। বখশিয়া দরবার শরীফের পীর কুতুবউদ্দিন শাহেদী বখসীর নেতৃত্বে জুলুস শেষে আলোচনা, দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয় শাহ আব্দুল্লাহ গাজিপুরির দরবার শরীফ মসজিদ প্রাঙ্গণে।
কুমিল্লা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উৎবাতুল বারী আবু ও সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপুসহ বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও জুলুসে অংশগ্রহণ করেন।
দেশবরেণ্য আলেমগণ এ সময় রাসূল (স:)-এর জীবনী নিয়ে আলোচনা করেন। বর্তমান সময়ের তরুণদের আইডল ইসলামিক বক্তা সৈয়দ মাখদুম শাহ আল মাদানী তাঁর বক্তব্যে বলেন, "আমরা সুন্নি মুসলিম জনতা কোনো অংশেই দুর্বল নই। এ দেশ ওলি আউলিয়াদের দেশ। এদেশে মব সৃষ্টি করে মুসলমানদের লাশ পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেলে রাসূলের দুশমনদের ছাড় দেওয়া হবে না।"
এ সময় শাহপুর দরবার শরীফের পীর গোলাম আব্দুল কাদের কাউকাব, দারোগাবাড়ি মসজিদের খতীব ইয়াসিন নূরী আল ক্বাদেরী, শাহে পানুয়া মসজিদের খতীব গাজী শাহজাহান বিপ্লবী, মাজেদুল হক চাঁদপুরী, আবুল মনসুর রাজাপুরি, নাজমুল হাসান বখসীর উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন।
এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, বিভিন্ন খানকা শরীফ, বিভিন্ন দরগাহ, পীরের দরবার থেকেও অসংখ্য সুফিমনা, আশেকানগণ জুলুসে অংশগ্রহণ করেন। পরিশেষে লাতিফিয়া দরবার শরীফের পীর গোলাম মহিউদ্দিন লাতিফির মোনাজাতের মধ্য দিয়ে জশনে জুলুস শেষ হয়।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর