নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার শামুকখোলা গ্রামের যুবদল নেতা সালমান খন্দকার হত্যা মামলায় জড়িত এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত ওই যুবকের নাম শিপন শেখ (৩২)। সে লোহাগড়া উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের চালিঘাট গ্রামের বুরাক শেখের ছেলে। শনিবার লোহাগড়া থানার হলরুমে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

প্রেস ব্রিফিংয়ে ওসি শরিফুল ইসলাম জানান, উপজেলার শামুকখোলা গ্রামের খাজা খন্দকারের ছেলে সালমান হত্যা মামলার তদন্তে তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় জড়িত নয়ন কাজীকে গ্রেপ্তারের পর তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শুক্রবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার চালিঘাট গ্রামে অভিযান চালিয়ে সালমান হত্যায় জড়িত শিপন শেখকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী হত্যায় ব্যবহৃত একটি চাকু (দুই দিকে ধারালো) উদ্ধার করা হয়।

আসামি শিপন শেখের স্বীকারোক্তি মোতাবেক, নিহত সালমানের গ্রামে একটি হত্যা মামলা বিচারাধীন ছিল। সেই মামলার পাল্টা জবাব দিতে ও প্রতিপক্ষের লোকজনকে ফাঁসাতে তার আপন চাচা রিপনসহ অন্যান্যরা সালমানকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরে রিপন ও নয়ন সালমানকে হত্যা করতে শিপনকে অর্থের প্রলোভন দেখায়। পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটনার দিন রাতে সালমানের চাচা রিপন ভাতিজা সালমানকে ঘটনাস্থলে ডেকে নিয়ে আসেন। পরে আট থেকে নয় জন দুর্বৃত্ত মিলে সালমানকে কুপিয়ে হত্যা করেন।

ওসি শরিফুল ইসলাম আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃত শিপন শেখের বিরুদ্ধে পূর্বের একটি মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়া হত্যার ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৯ মে সকালে উপজেলার শামুকখোলা গ্রামের কাউলিডাঙ্গা বিল থেকে সালমান খন্দকার নামে এক যুবদল কর্মীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার দুদিন পর ১১ মে নিহত সালমানের ভাই নাহিদ খন্দকার বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় ২০ জনকে আসামি এবং অজ্ঞাত ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

সালাউদ্দিন/সাএ