
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে মমতাজ বেওয়া (৬৫) নামে নিখোঁজ এক বৃদ্ধা মায়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় তার তিন ছেলে ও ছেলের স্ত্রীসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের হাসানপাড়া গ্রামের একটি জঙ্গলে গাছের পাতা দিয়ে ঢেকে রাখা মরদেহটি দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে পাঠায়।
নিহত মমতাজ বেওয়া ওই গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদ ওরফে বাদশা মুন্সির স্ত্রী। আটক তিন ছেলে হলেন— আব্দুল গফুর (৫০), নুর আলম (৪৫) ও সজিব মিয়া (৩৫)। এছাড়া নুর আলমের স্ত্রী ও শ্যালিকাকেও আটক করেছে পুলিশ। এর মধ্যে গফুর ও নুর আলম স্থানীয় দুটি মসজিদে ইমামতি করেন। নুর আলম হিঙ্গাপাড়া বালিকা বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজে অফিস সহায়ক হিসেবেও কর্মরত।
স্থানীয়রা জানান, স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই জমিজমা ও পারিবারিক বিষয় নিয়ে মা-ছেলেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। মমতাজ বেওয়া মেজো ছেলে নুর আলমের সঙ্গে পুরোনো বাড়ির একটি মাটির ঘরে থাকতেন। প্রায়ই নুর আলম ও তার স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হতো তার। শুক্রবার সকাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিনের বিরোধের জেরে তিন ছেলে মিলে মাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ জঙ্গলে ফেলে রাখে। কেউ কেউ দাবি করছেন, নুর আলম সরাসরি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। এ ঘটনায় তার স্ত্রী, শ্যালিকাসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সম্পৃক্ততার অভিযোগও উঠেছে।
ধাপেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য একরামুল হক বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে চেয়ারম্যানসহ আমরা ঘটনাস্থলে যাই। আগে থেকেই জমিজমা নিয়ে বিরোধ ছিল। নিহত মা তিন ছেলেকে কিছু জমিও লিখে দিয়েছিলেন। তবে কেন এই হত্যাকাণ্ড ঘটলো, তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে।
সাদুল্লাপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজউদ্দিন খন্দকার বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় তিন ছেলেসহ পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। হত্যা নাকি অন্য কোনো কারণে মৃত্যু হয়েছে, তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে জানা যাবে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
বাঁধন/সিইচা/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর