
কুমিল্লা সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের বাজগড্ডা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত ৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা রোজিনা আক্তার বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এখনো কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী বাজগড্ডা এলাকার হোসেন মিয়ার কন্যা। তার মা রোজিনা বেগম কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ সংলগ্ন রানীর দিঘীরপাড় কসবা হাউজের একটি বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করেন। ঘটনার দিন ৪ সেপ্টেম্বর রাত ৯টায় তিনি কাজ শেষে বাড়িতে ফিরে মেয়েকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে শাশুড়ির ঘরে মেয়েকে দেখতে পান এবং তার শরীরে রক্তক্ষরণ লক্ষ্য করেন।
মেয়ে মাকে জানায়, রাকিব পেছন দিক থেকে তাকে জাপটে ধরে তাদের টিনশেড ঘরে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ফলে তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। প্রথমে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হলেও রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় পরদিন ৫ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে রাকিবের মা তাজু বেগম ও জ্যোৎস্না বেগমকে জানানো হলে তারা উল্টো বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি দেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
ধর্ষিতার মা রোজিনা আক্তার বলেন, "আমার কোমলমতি মেয়েকে রাকিব জোরপূর্বক ঘরে নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের কারণে আমার মেয়ের প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।"
আসামিরা হলো জগন্নাথপুর তোফায়েল মেম্বার বাড়ির গলির সুমন ওরফে কালা মিয়ার পুত্র রাকিব (২০), সুমনের মা তাজু বেগম (৪০) এবং আব্দু মিয়ার স্ত্রী জ্যোৎস্না বেগম (৩৫)।
এ বিষয়ে কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মুহিনুল ইসলাম বলেন, আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর