
সুনামগঞ্জের যাদুকাটা নদীর ইজারাদার মো. নাসির মিয়া বালু শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে চাঁদাবাজদের টাকা দিতে নিষেধ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, যাদুকাটা নদীতে কাজ করার জন্য সকল সুযোগ-সুবিধা তাঁরা দেবেন। যদি কেউ চাঁদাবাজি করে বা কাউকে হয়রানি করে, তবে প্রশাসনের মাধ্যমে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের লাউড়েরগড় বাজারে শ্রমিকদের উদ্দেশে দেওয়া এক বক্তব্যে নাসির মিয়া এসব কথা বলেন।
তিনি আরও জানান, নদীতে কোনো ড্রেজার চলবে না এবং চলতে দেওয়া হবে না, কারণ এটি আইনসম্মত নয়। শ্রমিকরা তাঁদের নিজস্ব পদ্ধতিতে কাজ করবেন এবং চাঁদাবাজদের এক টাকাও চাঁদা দেবেন না। যদি কোনো চাঁদাবাজ চাঁদাবাজি করতে আসে, তবে তাদের ধরে থানায় সোপর্দ করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নাসির মিয়া বলেন, "আপনারা জানেন, এই নদীর জন্য আমরা দুই ইজারাদার কতটা ত্যাগ ও কষ্ট স্বীকার করেছি। আমাকে ডিবি দিয়ে তুলে নিয়ে কতটা হয়রানি ও মারধর করা হয়েছে, কিন্তু এরপরও আমি পিছু হটিনি। আপনারা যখন কাজের জন্য ভোলাগঞ্জ গিয়ে হয়রানি হয়েছেন, তখন কষ্ট লাগতো। তাই দিন-রাত নদীটি খোলার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। সপ্তাহে দুই-তিন দিন ঢাকায় থাকতে হয়েছে আমাকে সহ রাখাব উদ্দিন, সাখাওয়াত হোসেনসহ অনেককে।"
তিনি আরও প্রতিশ্রুতি দেন, "আমি বেঁচে থাকতে আপনাদের কোনো ক্ষতি বা হয়রানি করতে কাউকে দেবো না। আমি আপনাদের সাথে আছি। আপনারা আমাদের শক্তি। আপনারা শুধু ন্যায়সঙ্গতভাবে বালু উত্তোলন করবেন। ড্রেজার কাউকে কোনো ভাই চালাতে দেবেন না।"
এ সময় রাখাব উদ্দিন, সাখাওয়াত হোসেন সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, এলাকাবাসী ও শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সর্বশেষ খবর