
বাগেরহাটে দেশব্যাপী কৃমি প্রতিরোধ ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার সকালে সোশ্যাল মার্কেটিং কোম্পানি (এসএমসি)-এর আয়োজনে বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার লখপুর বাজারস্থ জমজম মেডিকেল হল প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন এসএমসি পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন এসএমসি বোর্ড অব ডাইরেক্টরস এর পরিচালক ও সরকারের সাবেক অর্থ সচিব সিদ্দিকুর রহমান চৌধুরী, এসএমসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তছলিম উদ্দিন খান এবং এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েফ উদ্দিন নাসির। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসএমসি’র কর্মকর্তাসহ স্থানীয় নারী-শিশুরাও অংশ নেন। অতিথিরা ফার্মেসিতে আগত নারী ও শিশুদের হাতে কৃমিনাশক ভারমিসিড ট্যাবলেট তুলে দেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ বলেন, “কৃমি সংক্রমণ রোধ শুধু সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ গণমাধ্যমকে এ বিষয়ে এগিয়ে আসতে হবে। এসএমসি সবসময় মা ও শিশুস্বাস্থ্য, পুষ্টি সচেতনতা এবং কৃমি প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছে।”
এসএমসি বোর্ডের পরিচালক সিদ্দিকুর রহমান চৌধুরী জানান, এসএমসি’র হেলথ নেটওয়ার্কের আওতায় সারাদেশে প্রায় ১৮ হাজার সেবাদানকারী কাজ করছেন। তারা মা-শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের মাঝে পুষ্টি সচেতনতা বৃদ্ধি, কৃমিনাশক বিতরণ এবং গর্ভবতী মা ও শিশুদের জন্য ফুলকেয়ার ও মনিমিক্স সরবরাহ করে থাকেন। এছাড়া ১৩৭টি উপজেলায় প্রায় ৪ হাজার নারী উদ্যোক্তার মাধ্যমে উঠান বৈঠক ও বিদ্যালয়ভিত্তিক স্বাস্থ্য শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক তছলিম উদ্দিন খান বলেন, “কৃমি প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়মিত চিকিৎসা নিতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০২২ সালের তথ্যমতে বিশ্বে প্রায় ১৫০ কোটির বেশি মানুষ কৃমিতে আক্রান্ত। গ্রামীণ ও বস্তি এলাকায় এই ঝুঁকি বেশি।” তিনি আরও বলেন, কৃমিতে আক্রান্ত শিশুরা শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং অ্যানিমিয়ার শিকার হয়। একইভাবে কিশোরী, প্রজনন বয়সী ও গর্ভবতী নারীদের রক্তস্বল্পতা ও মাতৃ-শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ে।
এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েফ উদ্দিন নাসির বলেন, “কৃমি প্রতিরোধে নির্দিষ্ট সময় অন্তর কৃমিনাশক সেবন জরুরি। আমরা আমাদের বিস্তৃত প্রাইভেট সেক্টর নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রতিটি পরিবারে পণ্য ও সেবা পৌঁছে দিচ্ছি। আগামীতেও এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।”
এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে বাগেরহাটসহ সারাদেশে কৃমি প্রতিরোধ, পুষ্টি উন্নয়ন ও জনসচেতনতা সৃষ্টির কার্যক্রমকে আরও জোরদার করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন আয়োজকরা।
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর