
ডাকসু ও জাকসুর নির্বাচনের অভিজ্ঞতা প্রমাণ করেছে, ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকেও পরাজিত করতে হয়েছে। আপাতত তারা এতে সফল হলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসমাজ ঐক্যবদ্ধ হয়ে সাম্প্রদায়িক মঞ্চের বিরুদ্ধে মাঠে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের বড় বাজার ব্রিজ এলাকায় নরসুন্দা নদী পরিষ্কার কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেন, ডাকসু নির্বাচন ছাত্রশিবির কারচুপি ও ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে জিতেছে। কিন্তু এনসিপি, উমামা ফাতেমা ও স্বতন্ত্রসহ সব প্যানেল এই নির্বাচনকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। উপাচার্য ও প্রক্টর জামায়াতপন্থী প্রভাব খাটিয়ে পুরো নির্বাচনকে কলুষিত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘৫ আগস্টের পর সারাদেশের মানুষ এ ডাকসু নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা একটি কলঙ্কিত অধ্যায় রচনা করেছে। জাকসুতেও একইভাবে প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়, তাই ছাত্রদল নির্বাচন বর্জন করেছে। দুটি নির্বাচনে ছাত্রদল কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলায় যায়নি। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চাই।’
জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে যুবদল সভাপতি বলেন, ‘জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত হলে এবং নেতাকর্মীরা রাজপথে থেকে ভোটকেন্দ্র পাহারা দিলে জনগণের বিপক্ষে গিয়ে কেউ ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করতে পারবে না। তবে ক্ষমতাসীনরা অবশ্যই চেষ্টা করবে।’
যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্নার নেতৃত্বে এক সময়ের খরস্রোতা নদীটির ময়লা-আবর্জনা মুক্ত করার এই উদ্যোগ নেয়া হয়।
এ সময় যুবদল সভাপতি বলেন, এক সময়ের খরস্রোতা নরসুন্দা নদী বর্তমানে মৃতপ্রায়। দখল আর দূষণে অস্তিত্ব হারাতে বসেছে নদীটি। ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে এটি। ময়লা ফেলে ভরাট করা হয়েছে সেতুগুলোর নিচ। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে পানি প্রবাহ। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারেক রহমানের নেতৃত্বে মানবিক সমাজ বিনির্মাণে কাজ করছে যুবদল। এরই অংশ হিসেবে নরসুন্দা নদীর ময়লা-অবর্জনা অপসারণ করার উদ্যোগে নেয়া হয়।
মোনায়েম মুন্না বলেন, নদীর মাঝ দিয়ে প্রবাহিত নরসুন্দাকে ঘিরে একটি মনোরম শহর গড়ে তোলা যেতো। কিন্তু বিগত আওয়ামী লীগের সময় পৌরসভা নিজেই ময়লা ফেলে নদী ভরাট করেছে। খননের নামে শত কোটি টাকার অপচয় ও লুটপাট হয়েছে। যুবদলের এমন মানবিক কাজ অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
নরসুন্দা নদী পরিষ্কার অভিযানের নেতৃত্ব দেন যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না। এসময় ব্রিজের মুখে ও নদীর দুই তীরে জমে থাকা প্লাস্টিক, বোতলসহ নানা প্রকার বর্জ্য অপসারণ করা হয়।
কার্যক্রমে আরও উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি রেজাউল করিম পল, জেলা যুবদলের সভাপতি খসরুজ্জামান শরীফ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ সুমন, সিনিয়র সহসভাপতি মুস্তাক আহমেদ শাহীনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এসময় আয়োজকরা জানান, তারেক রহমানের নির্দেশে জেলা যুবদলের উদ্যোগে নরসুন্দা নদীর বড় বাজার ব্রিজ এলাকায় পানিপ্রবাহ সচল রাখতে এ বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। তারা জানান, নদীকে দখল ও দূষণমুক্ত রাখতে নিয়মিতভাবে এমন উদ্যোগ নেয়া হবে।
স্থানীয় বাসিন্দারা যুবদলের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, নদী পরিষ্কার কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে পরিবেশ রক্ষা এবং সুস্থ নগর গড়তে বড় ভূমিকা রাখবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর