
গাজায় ইস্রায়েলি বিমান ও আর্টিলারি হামলায় শুক্রবার কমপক্ষে ৬৫ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে গাজা সিটির আ-টওয়াম এলাকায় সুলতান পরিবারের ১৪ জন সদস্য রয়েছেন। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিহতদের বেশিরভাগই গাজা সিটি ও গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে। এক পরিবারের সবাইকে নিয়ে তাদের বাড়ি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
হামলায় গাজার শাতি শরণার্থী ক্যাম্পে অবস্থিত একটি স্কুল ধ্বংস হয়েছে, যেখানে বহু মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। গাজা সিটির দারাজ এলাকায় ড্রোন হামলায় একটি শিশু নিহত হয়েছে এবং আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন। পশ্চিম গাজা সিটির একটি আবাসিক টাওয়ারও গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, পাশাপাশি আশপাশের কয়েকটি বাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।
গাজা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গাজা সিটি ও উত্তরাঞ্চলে এখনও প্রায় ১৩ লাখ মানুষ রয়ে গেছেন, যদিও ইস্রায়েল বারবার তাদের দক্ষিণে চলে যেতে বলছে। দক্ষিণ গাজার আল-মাওয়াসি এলাকায় মানবিক জোন ঘোষণা করা হলেও সেখানে পানি, পয়ঃনিষ্কাশন ও মৌলিক সুবিধার মারাত্মক সংকট রয়েছে। অনেক বাস্তুচ্যুত মানুষ জানিয়েছেন, ধুলো, শোক ও মৃত্যুর গন্ধে সেখানে জীবনযাপন করা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে।
হামাস এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন এবং গণহত্যা ও জোরপূর্বক স্থানচ্যুতির প্রচেষ্টা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। ইস্রায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা গত সপ্তাহে গাজা সিটিতে প্রায় ৫০০টি লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করেছে যাতে “যুদ্ধক্ষেত্র থেকে মানুষের উপদ্রব কমানো” যায়। ইস্রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেটানিয়াহুর সরকার এর আগে গাজা সিটি দখল ও নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। এর ফলে হাজার হাজার মানুষ ইতোমধ্যেই ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
সর্বশেষ খবর
সারাবিশ্ব এর সর্বশেষ খবর