ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে ছগির নামের এক যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় ২৪ ঘণ্টা পার হলেও এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ ও ঢাকা জেলা দক্ষিণ ডিবি পুলিশ যৌথভাবে গুরুত্ব সহকারে মামলাটি তদন্ত করছে। পুলিশের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানা গেছে, এ ঘটনায় বেশ কিছু সিসি ক্যামেরা ফুটেজ উদ্ধার করা হয়েছে। ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পুলিশ মামলার তদন্তের কাজ অনেক দূর এগিয়েছে। সন্দেহভাজন বেশ কয়েকজনকে ইতোমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

এদিকে আজ রবিবার বিকেল চারটার পর রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড হাসপাতাল) মর্গ থেকে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। বাদ মাগরিব জানাজা শেষে দাফন করা হবে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এর আগে গত শনিবার সকালে বাসা থেকে টিফিন ক্যারিয়ার হাতে করে রাজধানীর ইসলামপুর নিজ কর্মস্থলে যাওয়ার সময় চুনকুটিয়া হিজলতলা এলাকায় সুধার বাড়ির সামনে কে বা কারা ছগিরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহত যুবকটির বাবা আমির হোসেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে ৩০২/৩৪ ধারায় একটি হত্যা মামলা (মামলা নম্বর ৩৫) দায়ের করেছেন।

নিহতের পিতা আমির হোসেন জানান, হত্যাকাণ্ডের স্থানে ছগিরের মোবাইল ফোনটি পাওয়া যায়নি। অথচ শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত মোবাইল ফোনটি চালু ছিল। পুলিশের উদ্ধারকৃত সিসি ক্যামেরার ফুটেজে তিনি দেখেছেন, মাথায় ক্যাপ ও মুখে মাস্ক পরিহিত একাধিক যুবক তার ছেলেকে হত্যা করে হাতে দা নিয়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। তিনি আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ আখতার হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তাদের সন্দেহের তালিকায় অনেকেই রয়েছে, তবে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হয়, সেজন্য খুবই নিখুঁতভাবে মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে এখন সবকিছু বলা যাচ্ছে না, তবে তদন্ত কার্যক্রম অনেক দূর এগিয়েছে। আশা করা হচ্ছে খুব দ্রুতই হত্যার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।

সালাউদ্দিন/সাএ