কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নে পারিবারিক কলহের জেরে বাবাকে পিটিয়ে হত্যার পর লাশ বস্তাবন্দী করে বসতভিটার পাশে মাটিচাপা দেওয়ার চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মোহাম্মদ রফিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ ছৈয়দ (৫০)। তিনি কয়েক বছর আগে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে এসে খুরুশকুল ইউনিয়নের দক্ষিণ ডেইলপাড়া কুরিমারিয়ারছড়া এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস শুরু করেন। পুরো পরিবারটি রোহিঙ্গা নাগরিক।
ঘটনাটি প্রকাশ পায় হত্যার প্রায় ৩৬ ঘণ্টা পর। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিহতের বাড়ির আশপাশ থেকে দুর্গন্ধ ছড়ালে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। এক পর্যায়ে ধানক্ষেতের পাশে সদ্য মাটি চাপা দেওয়া স্থানে একটি শার্ট দেখা যায়। এ সময় স্থানীয়রা বিষয়টি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জানালে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। পরে রাত ৯টার দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় মাটি খুঁড়ে বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার রফিকের স্ত্রী শারমিন আক্তার জানান, সোমবার ভোরে নিহত মোহাম্মদ ছৈয়দ নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরেন। পরে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার এক পর্যায়ে ছেলে রফিকও যুক্ত হন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রফিক লাঠি দিয়ে বাবাকে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এরপর লাশ ঘরে রেখে পরিবারের সবাই বিষয়টি গোপন করার চেষ্টা করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার পর সোমবার রাতেই নিহতের স্ত্রী ও দুই ছেলে রফিক ও সাহাবউদ্দিন জিয়া মিলে লাশ বসতভিটার পাশে ধানক্ষেতে মাটিচাপা দেন। পরদিন সকালে স্ত্রী-সন্তান সবাই পালিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়।
কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াছ খান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে রফিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পারিবারিক কলহ থেকেই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার পর জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর