
ছোট্ট একটি নাম সমু। বাবা মায়ের ভালোবাসা আদর যত্নে একটু একটু করে বেড়ে উঠছিলো সে। বুদ্ধিমত্তা ভালো থাকায় লেখা পড়ার পাশাপাশি কবিতাও লিখতেন সমু। স্কুলে খেলার সাথীদের সাথে আর কখনো দেখা হবে না তার। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে সমু সকলের মায়া ত্যাগ করে না ফেরার দেশে চলে যান।
স্কুলে ভালো রেজাল্ট ও ভদ্র হওয়ায় শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের কাছে নামটি বেশ পরিচিত ছিলো। কবিতা লেখার পাশাপাশি বেশ ভালো ফুটবলও খেলতো সমু। কে জানতো ফুটবল খেলতে গিয়ে জীবন প্রদীপ জ্বলে ওঠার আগেই নিভে যাবে ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র সমু চন্দ্র কর্মকারের।
সমু নন্দীগ্রাম হিন্দুপাড়ার সমর চন্দ্র কর্মকারের ছেলে। সে নন্দীগ্রাম সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র ছিলো।
সমুর ভাই অসিম কুমার কর্মকার জানান, ফুটবল খেলতে গিয়ে পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয় সমু। জানতে পেরে চিকিৎসার জন্য প্রথমে বগুড়া টিএমএসএস হাসপাতালে পরে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে সমু সকলের মায়া ত্যাগ করে না ফেরার দেশে চলে যায়।
নন্দীগ্রাম সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী আজম বলেন, আমার খুব প্রিয় ছাত্র সমু। তার অকাল মৃত্যুতে পুরো নন্দীগ্রাম জুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া। সমুর মৃত্যুতে স্কুল শিক্ষক থেকে শুরু করে অনেক গুণীজনরা ফেসবুকে শোক প্রকাশ করে পোস্ট দেন। সবাই সমুর আত্মার শান্তি কামনা করছেন।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুচাইকুড়ি মহাশ্মশানে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর