
কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল।
দলের গঠনতন্ত্রে থাকা ‘এক নেতা এক পদ’ নীতির প্রতি সমর্থন জানিয়ে বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা শহরের পুরাতন স্টেডিয়ামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে সোহেল অভিযোগ করেন, জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলম একাধারে জেলা সভাপতি এবং ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন, যা দলের গঠনতন্ত্রের ১৫ ধারার বিশেষ বিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তিনি বলেন, গঠনতন্ত্র রক্ষার দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্যই নিজের পদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সোহেল আরও জানান, এখন থেকে তিনি শুধু সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তবে ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য কাউন্সিলে যদি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন, তাহলে উপজেলা সভাপতির পদ থেকেও পদত্যাগ করবেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর মনোনয়নে পক্ষপাতমূলক ভূমিকা রাখছেন। নিজেদের অনুগতদের প্রাধান্য দিচ্ছেন। এতে কাউন্সিলের স্বচ্ছতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
লিখিত বক্তব্যে খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল আরো বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির নেতা-কর্মীরা দুঃসময়ের ভেতর দিয়ে যাচ্ছেন। মামলা, হামলা ও কারাবরণ সত্ত্বেও তারা আন্দোলনের মাঠে দৃঢ়ভাবে অবস্থান করছেন। দলের এই ত্যাগী কর্মীদের যথাযথ মূল্যায়ন ও মর্যাদা রক্ষার স্বার্থে তিনি সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তিনি জানান, নির্বাচিত হলে সাংগঠনিকভাবে জেলা বিএনপিকে আরও শক্তিশালী ও সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে ইউনিয়ন, উপজেলা, পৌরসভা এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে নিয়মিত কাউন্সিল অধিবেশন সম্পন্ন করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করবেন। পাশাপাশি ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা-কর্মীদের অগ্রাধিকার দিয়ে নতুন নেতৃত্ব তৈরিরও উদ্যোগ নেবেন।
জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত বিএনপিকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রধান হাতিয়ার হিসেবে উল্লেখ করে খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি আবারও জনগণের আস্থা অর্জন করবে এবং দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করবে।
তিনি আরও বলেন, আমি চাই কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপিকে একটি মডেল জেলা কমিটিতে রূপান্তরিত করতে। এজন্য সবার সহযোগিতা চাই।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদ রেজা, সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ফরিদ উদ্দিন মাসউদ সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল আমিন উজ্জ্বল, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তাক আহমেদ শাহিন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ নেভিন ও সদর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সাইফুল ইসলামসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, আগামী ২০ সেপ্টেম্বর জেলা বিএনপির কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ওই কাউন্সিলে ফুটবল প্রতীকে সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর